রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিতেই হবে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট)। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয় বলা হয়েছিল। কিন্তু স্যাট থেকে আগেই রায় দেওয়া হয়েছিল বকেয়া ডিএ দিতে হবে। এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিন সেই আবেদন ও খারিজ হয়ে যায়।
করোনা পরিস্থিতির জন্য আগামী দেড় বছর কেন্দ্র কর্মীদের ডিএ বাড়াবে না বলে জানিয়েছে।এদিকে গত ১ জানুয়ারিতেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছিল। কেন্দ্রের ওই ডিএ বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ ২১ শতাংশে পৌঁছায় বলে দাবি করেন বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন। এদিকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে নতুন বছরে। কিন্তু বেতন বৃদ্ধি হলেও বকেয়া ডিএ নিয়ে সরকারের তরফ থেকে কিছু বলা হয়নি। ফলে ক্ষুব্ধ হন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, যে রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। এই পরিস্থিতিতে ডিএ দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই রাজ্য সরকারের। মাননীয়া মুহ্যমন্ত্রী র মুখেও একই কথা বহুবার শোনা গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই রাজ্য সরকারকে স্যাট নির্দেশ দিয়েছিল যে পরবর্তী ছ’মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে হবে। রাজ্য সরকার তা দেয়নি যার জন্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন স্যাটে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে। রাজ্য সরকার পুনরায় স্যাটে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে। গত ৩ মার্চ রিভিউ পিটিশনের শুনানি শেষ হয়েছিল। আর বুধবার ডিএ মামলার রায় ঘোষণা হল। স্যাটের বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ ও প্রশাসনিক সদস্য সুবেশকুমার দাস এই রায় দেন। এরফলে রাজ্য সরকারের উপর চাপ আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।