একটি নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের মাধ্যমে কোভিড ১৯ মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করার একমাত্র উপায়। বিশ্ব জুড়ে ২০০ টিরও বেশি দেশ ইতিমধ্যে গবেষণায় যুক্ত থাকার কারণে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ অভূতপূর্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে। সারস-কোভি -২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে নিরাপদ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী দৌড়ে এগিয়ে থাকা ভারতীয় গবেষকরা শিগগিরই ১ ম ও ২ য় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ১,১০০ জনের উপর দেশের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষা শুরু করবেন।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) – ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি) এর সঙ্গে যৌথ ভাবে ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে পুনেতে। সারস-কোভি -২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইতিমধ্যে কোভ্যাক্সিন প্রাকৃতিক গবেষণায় সুরক্ষা এবং প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেছে।
১৫ আগস্টের মধ্যে ভারত বায়োটেকের কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন চালু করার জন্য আইসিএমআর যে ৪০ দিনের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে তা বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তবে গবেষণা সংস্থা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারিখটি ‘সময়সীমা নয়’। অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা টিকা তৈরির কঠোরতার মানদণ্ডে আপস করতে পারে এমন যে কোনও ত্বরান্বিত সমাধানের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। কিন্তু, আমরা কি সত্যিই স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে একটি করোনা ভ্যাকসিন পেতে পারি? এ বিষয়ে ইমার্জেন্সি মেডিসিন-এর সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ ইন্দর মৌর্য্য জানান, বিভিন্ন পরীক্ষায় সফল হলে তবেই নিয়ামকদের দ্বারা ভ্যাকসিনগুলি অনুমোদন পাবে এবং আমরা তা ব্যবহারের সুযোগ পাব।