গত ১৫ই জুন লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় ঘটে যাওয়া ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ক্রমেই জটিল হচ্ছে ভারত ও চিনের মধ্যেকার সম্পর্ক। চিনের বরাবরের আক্রমণাত্মক ও আগ্রাসন নীতির উচিত শিক্ষা দিল ভারত। ভারত-চিন সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের পর ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। এবার দক্ষিণ চিন সাগরে নিজের অস্তিত্ব কায়েম করতে চলেছে ভারত। সীমান্তে টহলদারি ও দক্ষিণ চিন সাগরে নৌবাহিনীর সংখ্যা বাড়াতে চলেছে ভারত। আর ভারতের এমন সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে ফিলিপিনস।
ফিলিপিনসের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডেলফিন লোরেনজানা জানিয়েছেন, দক্ষিণ চিন সাগরে ভারত যে নৌবাহিনীর মহড়া বাড়াতে চায় সেই দিক থেকে পাশে থাকতে চায় ফিলিপিনস। তাঁরা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, নৌবাহিনীর মহড়ায় পাশে থাকতে চায় তাঁরা। এছাড়া ভিয়েতনামের পক্ষ থেকেও ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। দেশের কূটনৈতিক মহল বলছে, দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের নৌবাহিনীর মহড়া ও সীমান্তে টহলদারি চিনকে আরও শিক্ষা দেবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই দ্বীপকে চিন নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করেছে।
গত এপ্রিল মাসে এই একই দাবি করেছে ভিয়েতনাম। একই অভিযোগ আনে ইন্দোনেশিয়াও। ফিলিপিনসের তরফে জানান হয়েছে, জলসীমা ব্যবহারের অধিকার রয়েছে সব দেশেরই। কিন্তু চিনের বাড়বাড়ন্ত চিন্তায় ফেলেছে। কূটনৈতিক মহল এই বিষয়ের প্রেক্ষিতে জানিয়েছে, সমস্ত বন্ধু রাষ্ট্রগুলি মিলে চিনের বিরুদ্ধে অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার চালানো শুরু করুক। আর এই কাজে সবথেকে উপযু্ক্ত স্থান আন্দামান-নিকোবর দীপপুঞ্জ, যা ভারতের কাজে লাগানো উচিত।