বারবার নিজেকে বদলে চিকিৎসকদের নাজেহাল করছে নোভেল করোনা ভাইরাস। গোটা বিশ্ব জুড়ে যেভাবে নিজের প্রতিপত্তি কায়েম করছে এবং মিউটেশনের মাধ্যমে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে এই মারণ ভাইরাসকে সমূলে বিনাশ করতে তোরজোর শুরু করেছে গোটা বিশ্বের বৈজ্ঞানিক মহল। বিশ্ব জুড়ে নিত্যদিন লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আর এর ফলেই ঘুম উড়েছে চিকিৎসকদের। এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই উপায় করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিস্কার। কতোটা এগোলো করোনার প্রতিষেধকের কাজ? দেখে নেওয়া যাক-
* ভারত বায়োটেক: ইতিমধ্যে ‘কোভ্যাক্সিন’ নামক একটি প্রতিষেধক মানব দেহে পরীক্ষা করার সবুজ সংকেত পেয়েছে সরকারের তরফ থেকে। এই ‘কোভ্যাক্সিন’ প্রতিষেধকের নির্মাতা ভারত বায়োটেক। এই প্রতিষেধক ভারতের বাজারে সাধারণ মানুষের জন্য আসছে আগামী ১৫ই আগস্ট।
* ওভিস্যাক্স: এই সংস্থা করোনা ভাইরাসের টিকা আবিস্কারের চেষ্টায় রয়েছে।
* প্যানাসিয়া বায়োটেক: আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এই সংস্থা করোনার প্রতিষেধক আবিস্কার করতে পারবে, এমনই জানিয়েছে সংস্থা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে পরীক্ষা রোগীর দেহে পরীক্ষা করা শুরু হবে।
* মোর্ডেনা: এই সংস্থার এক মার্কিন গবেষক ডঃ অ্যন্টনি ফৌসি জানিয়েছেন, শীঘ্রই আবিস্কৃত টিকা দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে আশানুরূপ ফল মিলেছে।
* সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া: এই সংস্থা আশাবাদী আগামী ৬ মাসের মধ্যে করোনা প্রতিষেধক তাঁরা তৈরি করে ফেলবে। এছাড়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও AstraZeneca এর সঙ্গে যৌথভাবে এই সংস্থা করোনার প্রতিষেধক আবিস্কার করছে। মোট ৪ ধরনের টিকা আবিস্কারের কাজ চালাচ্ছেন তাঁরা।
* জাইডাস ক্যাডিলা: আগামী অক্টোবর কিংবা নভেম্বর মাসের মধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ট্রায়ালের কাজ সম্পূর্ণ করবে এই সংস্থা। এরপর তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চলবে। আগামী বছর এই সংস্থা ভারতের বাজারে করোনার টিকা আনতে পারবে বলে আশাবাদী।