বহু টানাপোড়েন ও জল্পনা কল্পনার পর এদিন সচিন পাইলট নিজেই জানালেন, তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। তবে কংগ্রেসে থাকতে গেলে কয়েকটি শর্ত তিনি সামনে রেখেছেন। প্রথম শর্ত, তাঁর চারজন অনুগামীকে দিতে হবে মন্ত্রীত্ব। দ্বিতীয় শর্ত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও অর্থ সচিন পাইলটের শিবিরকে দিতে হবে। তৃতীয় শর্ত, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে তিনিই বহাল থাকবেন। এই শর্তগুলি মানলেই তিনি কংগ্রেস সভাপতি দলে ফিরবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন, এমনটাই খবর সূত্রের।
বিশেষ সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, সচিন পাইলট টানা দুই দিন কারোর ফোন ধরেননি। এরপর এদিন সোমবার তিনি উপরিউক্ত তিনটি শর্ত রাখেন। তার বক্তব্য ছিল, যদি এই শর্তগুলি মানা হয় তবেই তিনি দলে ফিরতে রাজি হবেন। এরপর কংগ্রেস দলের হয়ে পাইলটের সঙ্গে কথপোকথন সারেন গান্ধী পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু তাঁর দেওয়া শর্ত না মানা পর্যন্ত সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট পাইলটের দেওয়া শর্ত মানলেই কংগ্রেসে ফিরবেন সচিন। নাহলে নিজের দল তৈরি করতে বা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা। তবে প্রকাশ্যে সচিন পাইলট স্পষ্ট করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনো কথাই বলেননি। বরং এই জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই”। সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ডাকা বৈঠকে ১০৭ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। তবে পাইলট দাবি করেন ৩০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে আছেন। হিসেব বলছে, রাজস্থান বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার যেহেতু ১০১ জন ও মুখ্যমন্ত্রীর শিবিরে ১০৭ জন বিধায়ক রয়েছেন তাই এই মূহুর্তে সরকারের কোনো সংকট থাকার কথা নয়।