একনাগাড়ে বৃষ্টির ফলে বানভাসি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে অসমে। বন্যার ফলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে এসেছে রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত বন্যা ও ভূমিধসের ফলে অসমে ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ। ব্রহ্মপুত্র সহ বিভিন্ন নদনদীর জল অনেকটা বেড়ে যাওয়ার ফলে ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে। এদিন বৃহস্পতিবার অসমের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে জানান হয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্য জুড়ে ক্রমাগত প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। আর তার ফলে বন্যা পরিস্থিতি ও সেইসঙ্গে ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে।
একদিকে দেশ জুড়ে করোনার সংক্রমণ, অপরদিকে এমন বন্যা পরিস্থিতির ফলে অসমে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অসমে এখনো পর্যন্ত ভূমি ধসের ফলে ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বন্যার ফলে অসমে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। গতকাল বুধবার আরও ৭ জন বন্যার ফলে মারা গিয়েছেন। প্রচুর জমি ও গ্রাম বন্যার ফলে জলের তলায় চলে গিয়েছে। সবথেকে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ধুবরি জেলায়। গ্রামগুলি জলের তলায় চলে যাওয়ার ফলে প্রচুর ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে।
সরকারের তরফে ২৩ টি জেলায় ৬২৯ টি ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে গৃহহীন মানুষদের জন্য। সেখানে ৪০ হাজারেরও অধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ৯৩টি রাজস্ব অঞ্চলের ৩ হাজার ৩৭৬ টি গ্রামের ১ লক্ষ ২৮ হাজার হেক্টর জমি বন্যার ফলে জলের তলায় চলে গিয়েছে। অসমের বেশ কয়েকটি জেলা যেমন বাকসা, গোয়ালপাড়া, শোনিতপুর, দারাং, নলবাড়ি, বিশ্বনাথ আরও বেশ কয়েকটি জেলা বন্যার ফলে বিপর্যস্ত। গতকাল বুধবার জোরহাট জেলার একটি ত্রাণ শিবিরে বিপর্যস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে যান অসমের মু্খ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল।