ইন্দো-চীন সংঘাতের পর থেকেই উত্তপ্ত লাদাখ সীমান্ত। শান্তিপূর্ণভাবে বৈঠকে সেনা সরানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও আদতে সেনা সরাচ্ছে না চীন। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ হাজার সেনার জমায়েত করে ফেলেছে চীন। শুধু এটাই নয়, সবরকম দিক থেকে যুদ্ধের প্রস্তুতি করে রাখছে চীন। এয়ার ডিফেন্স বসানো, সৈন্য মোতায়েন, মিসাইল সবই তৈরী রাখছে ড্রাগনের দেশ। তবে শত্রূপক্ষের সাথে লড়তে তৈরী আছে ভারত।
ভারত ও মিসাইল ছুঁড়তে সক্ষম এক স্কোয়াড্রন টি-৯০ ট্যাঙ্ক ১২ টি, সেনাদের বহনে সক্ষম সশস্ত্র যান, ৪ হাজার সেনার ব্রিগেড সব তৈরী রাখা হচ্ছে। শাকসগাম- কারাকোরাম পাসের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে চিনা আগ্রাসন ঠেকানোর লক্ষ্যেই দৌলত বেগ ওল্ডিতে কারাকোরাম পাসের দক্ষিণে ছিপ-ছাপ নদীর তীরে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় ভারতীয় সেনার শেষ পোস্ট রয়েছে৷ এদিকে ৪৬ টন ওজনের টি-৯০ ট্যাঙ্কের ভার যেহেতু সেতুর পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়, তাই যেখানে নদীর গভীরতা কম, সেখানে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে এই ট্যাঙ্কগুলিকে নদী পার করিয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সেনা।
চীনের বেশ কিছু কূটনৈতিক চাল রয়েছে বলে মনে করছে ভারত। ইতিমধ্যেই শাকসগামে ৩৬ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে ফেলেছে চীন৷ ভারতের আরেক শত্রূদেশ পাকিস্তান ১৯৬৩ সালে এই শাকসগামের ৫১৬৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা বেআইনি ভাবে চীনকে দিয়ে দিয়েছিল। এবার ও চীন নতুন কিছুর চেষ্টা করছে বলে ভারতের আশঙ্কা।এবার শাকসগাম পাস হয়ে কারাকোরামের সঙ্গে লাসা- কাসগর হাইওয়েকে জোড়ার চেষ্টা করতে পারে চীন। আর এই জন্য হিমবাহের নিচে সুড়ঙ্গ করতে হবে চীনকে। যা চীনের পক্ষে করা কোনো অসম্ভব কাজ নয়। আর চীন যদি এই কাজে সফল হয়, তাহলে এই সুড়ঙ্গ দিয়েই চীন দৌলত বেগ ওল্ডির উপরে উত্তর দিক থেকে সহজেই নজরদারি চালাতে পারবে।
এর পাশাপাশি চীনের আরেকটি কুমতলব ও আছে। সেটি হল- নতুন এই পথ তৈরি করে লাসা- কাসগর হাইওয়ের সঙ্গে কাসগড়-ইসলামাবাদ কারাকোরাম হাইওয়েকে যুক্ত করা৷ দুটি দিক যুক্ত হলে সময় বাঁচবে। আর এর দ্বারা সিয়াচেনের ভারতীয় পোস্টও অনেকটাই নাগালের মধ্যে চলে আসবে চীনের।