মুসলিম ধর্মের হয়েও রামের ভক্ত, ৮০০ কিলোমিটার হেঁটে অযোধ্যর ভুমিপুজোতে যাচ্ছেন এক মুসলিম ব্যক্তি
সারা দেশে তিনি ১৫ হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটে বিভিন্ন মন্দিরে গিয়েছেন। তাই ৮০০ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়াটা তার কাছে অসম্ভব কিছুই নয়। আর তিনি যে মুসলিম হয়ে হিন্দু মন্দিরে এতদিন ঘুরেছেন কেউ কোনোদিন আপত্তি করেনি।
পায়ে হেঁটে ৮০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন এক মুসলিম ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ ফৈজ খান চন্দ্খুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। ছত্রিশগড়ের এই গ্রামেই নাকি জন্মেছিলেন রামের মা কৌশল্যা। আর ওই গ্রাম থেকে এবার রাম মন্দিরের ভুমিপুজো উৎসবে যেতে চান মহম্মদ ফৈজ খান। ইতিমধ্যেই তিনি মধ্যপ্রদেশের অনুপপুরে পৌঁছে গিয়েছেন।
এর আগেও তিনি অনেক মন্দিরে পায়ে হেঁটে গিয়েছেন। সারা দেশে তিনি ১৫ হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটে বিভিন্ন মন্দিরে গিয়েছেন। তাই ৮০০ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়াটা তার কাছে অসম্ভব কিছুই নয়। আর তিনি যে মুসলিম হয়ে হিন্দু মন্দিরে এতদিন ঘুরেছেন কেউ কোনোদিন আপত্তি করেনি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে রাম মন্দিরকে নিয়ে ভারতে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান।
তিনি সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন যে ধর্ম এবং নামের দিক দিয়ে তিনি একজন মুসলিম৷ কিন্তু তিনি শ্রী রামের ভক্ত। তাদের পূর্বসূরিরা হিন্দুই ছিলেন৷ তাদের নাম রামলাল বা শ্যামলাল ছিল। মসজিদ বা চার্চে গেলেও বংশগত ভাবে তাদের উৎস হিন্দু ধর্মই। এছাড়া তিনি আরও বলেন যে শ্রী রামচন্দ্রের থেকেই তাদের উৎপত্তি। পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবালের কথার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘যাঁদের প্রকৃত দৃষ্টি আছে তাঁরা বুঝতে পারবেন যে রামচন্দ্রই ভারতের আসল দেবতা ছিলেন। আর সেই কারণেই রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর জন্য কৌশল্যার জন্মস্থান থেকে মাটি নিয়ে আমি অযোধ্যায় যাচ্ছি৷’