‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন ২০২০’ এর চূড়ান্ত পর্বে পড়ুয়াদের সাথে নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে আলাপচারিতায় মেতে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারের নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একুশ শতক জ্ঞানের যুগ, সেই দিশায় কদম বাড়িয়ে নতুন এই শিক্ষানীতি এনেছে সরকার। ভারী স্কুলব্যাগ ছেড়ে আজীবন কাজে লাগবে এমন জ্ঞান ও শিক্ষার দিকে এবার থেকে এগিয়ে দেওয়া হবে। মুখস্থ না করে বিশ্লেষণ করতে শিখবে এবার তারা।”
শনিবার ছিল স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন ২০২০’ এর চূড়ান্ত পর্ব। এদিন প্রতিযোগিতার শেষ পর্বে দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে নানা উপায় প্রধানমন্ত্রীকে বলেন পড়ুয়ারা। এবারের স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৪ লক্ষ ৫০ হাজার পড়ুয়া। সেখান থেকে ১০ হাজার পড়ুয়া পৌঁছায় চূড়ান্ত পর্বে। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারীকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে যথাক্রমে ৭৫ হাজার এবং ৫০ হাজার টাকার নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে।
এদিন ডিজিটাল মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠান শুরুর আগে বক্তব্য রাখেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। প্রধানমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবুও এই হ্যাকাথন হওয়া আনন্দের বিষয়। এদিনের আলাপচারিতার মাঝে ছাত্রছাত্রীরা তাদের তৈরি বিভিন্ন মডেলের কথা প্রধানমন্ত্রীকে শোনান।
তিনি সকলের কথাই খুব মন দিয়ে শোনেন। এক প্রতিযোগী তাঁর তৈরি বর্ষার আগাম অনুমান করতে সক্ষম একটি মডেলের কথা বলেন। শুনে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে রীতিমতো আগ্রহ প্রকাশ করেন। সব মিলিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানে নানা উদ্ভাবনী ক্ষমতার পরিচয় দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অংশগ্রহণ কারী সমস্ত প্রতিযোগীরা।