গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনার প্রকোপে ক্রমাগত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চিন্তিত বৈজ্ঞানিক মহল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকগণ করোনার সংক্রমণ রোধ করতে প্রতিষেধক আবিস্কারের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন। করোনার ফলে আক্রান্ত বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ। আর সেই সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আর এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার বাসিন্দা শ্বেতা সিং করোনার প্রতিষেধক আবিস্কারে নিজেকে মগ্ন রেখেছেন।
বাংলার মেয়ে শ্বেতা সিং বর্তমানে আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of Columbia) অধ্যাপক হেক্টার ফ্লোরেজের সঙ্গে করোনার প্রতিষেধক আবিস্কারের গবেষণা চালাচ্ছেন। আর এই খবর প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকার বিখ্যাত মেডিকেল জার্নালে। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী বৈজনাথ সিংয়ের কন্যা শ্বেতা সিং। তিনি আসানসোল লরেটো কনভেন্ট বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর স্কুল শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য পুণে যান। সেখানে পিএইচডি পড়েন ডায়বেটিস নিয়ে। এরপর শ্বেতা ২০১৮ সালে নবনীত সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়। শ্বেতার স্বামী পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। স্বামীর সঙ্গে আমেরিকার কলম্বিয়া যান শ্বেতা।
আমেরিকায় গিয়ে সেখানে তিনি আবার নিজের পড়াশোনা চালু করেন। সেখানে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেক্টর ফ্লোরেজের সঙ্গে শ্বেতা সিং যৌথভাবে গবেষনা শুরু করেন করোনার প্রতিষেধকের উপর। তাঁদের গবেষণা সম্বন্ধে ‘এফ ওয়ান থাউসেন্ড রিসার্চ’ নামক জার্নালে বলা হয়েছে, মলিকিউলার ডকিংয়ের মাধ্যমে করোনার ওষুধ আবিষ্কার হতে পারে। নিউমোনিয়ার অ্যাটোভেন ও অ্যালার্জির অ্যালেগ্রার মতো সাধারণ ওষুধ যা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় খুব সহজেই তাদের সংমিশ্রণে তৈরি হতে পারে করোনার প্রতিষেধক। শ্বেতার কথায়, “সবই এখনও সম্ভাবনাময়। এই থিওরি কাজে লাগলে আমরা নিজেদের ধন্য মনে করব। নতুন কোনো ওষুধ আনা অনেকটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই সাধারণ ওষুধ দিয়েই আমরা মলিকিউল ডকিং করছি”।