টানা ২৮ বছর তৈরি করা খাবার ছুঁয়ে দেখেননি তিনি। শুধু ফল ও দুধ খেয়েই বেঁচে আছেন বছর ৮৭-এর ঊর্মিলাদেবী। হ্যাঁ এটাই সত্যি। কিন্তু এই দৃঢ় সংকল্পের কারণ কী? জানা গিয়েছে রাম মন্দিরের বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের অপেক্ষা। করসবকেরা যখন অযোধ্যার বিতর্কিত সেই কাঠামোটি ভেঙে দেন তখন দেশ জুড়ে আগুন জ্বলে ওঠে। আর এই খবর সবটাই খবরের কাগজের মাধ্যমে নজরে পড়ে ঊর্মিলাদেবীর। তিনি সিদ্ধান্ত নেন রাম মন্দিরের কোনোরকম ইতিবাচক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তিনি খাবার গ্রহণ করবেন না।
তাঁর প্রতিদিন দুই বেলা খাবারের তালিকায় থাকতো সামান্য ফলমূল, দুধ। তাঁর পরিবার কখনো তাঁর উপর বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেয়নি। সবসময় স্বাস্থ্যের খেয়াল রেখেছেন তাঁরা। ভারতের রাজনীতিতে বারবার এসেছে বদল। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হবে কিনা সেই বিষয় দোলাচল চলেছে বহুবছর। কিন্তু ঊর্মিলাদেবী নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। ২৮ বছর আগে তিনি শপথ করেন রাম মন্দির বিষয়ে কথা না হলে খাবার ছোঁবেন না। আর সেই মতই কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ২৮ বছর।
আগামী ৫ই অগাস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পুজো। করোনার প্রকোপের কারনে খুব ছোটো করেই আয়োজিত হবে পুজোর অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলেন ঊর্মিলাদেবী। এবার তাঁর দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয় বলে তাঁকে বোঝানো হয়েছে তাঁর পরিবারের তরফে। তিনি বাড়িতে বসেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যাতে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।