ভূমি পূজার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে শুরু হতে পারে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। অযোধ্যাতে রাম মন্দিরের জন্য বরাদ্দ জায়গায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সাফাই অভিযান। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে রাম মন্দিরের ভূমি পূজা সম্পন্ন হওয়ার পর দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে জয় শ্রীরাম ধ্বনি। যেন বহু দিনের ইচ্ছে পূরণের পর মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে মানুষ।
তবে শুধু রাম মন্দির নির্মাণের সমর্থনই নয়, সামাজিক মাধ্যমে রাম মন্দির নির্মাণের প্রচ্ছন্ন বিরোধিতাও চলছে সমানে। সরকারি মদতে মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য অনেকেই দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভক্তদের সেসবে কোন আগ্রহ নেই। রামচন্দ্র মন্দিরে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর তাঁরা এবার ভগবান রামের প্রধান ভক্ত হনুমানকে সঠিক জায়গায় অধিষ্ঠিত করতে চলেছেন। জানা গেছে কর্নাটকের হাম্পিতে হনুমানের ২১৫ মিটার উঁচু মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে ভক্তরা।
কর্নাটকের হাম্পিতে হনুমান জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। তারাই অর্থ সংগ্রহ করবে এই মূর্তি নির্মাণের জন্য। ট্রাস্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় হনুমানের রথ যাত্রা বের করে অর্থ সংগ্রহ করা হবে। পুরাণ মতে, হাম্পির কাছে কিষ্কিন্ধ্যায় ছিল বানর রাজ সুগ্রীবের রাজত্ব। হাম্পির পাশেই অঞ্জনাদ্রি পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে একটি হনুমান মন্দির। ৫৫০টি সিঁড়ি ভেঙে সেই মন্দিরে পৌঁছতে হয় ভক্তদের। তাই ভক্তদের কষ্ট লাঘব করতে হনুমান মূর্তি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে হনুমান জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট।
২১৫ মিটারের এই সুউচ্চ হনুমান মূর্তিটি তৈরি করতে আনুমানিক ১২০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কর্নাটক সরকারের অর্থ সাহয্যের পাশাপাশি ভক্তদের কাছ থেকেও সংগ্রহ করা হবে এই মূর্তি তৈরির টাকা। আগামী ৬ বছরের মধ্যে এই মূর্তি তৈরির কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট। ইতিমধ্যে ট্রাস্টের তরফে মূর্তি তৈরির অনুমতি চেয়ে কর্নাটক সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।