এলভিএমএইচ প্রধান আর্নল্টকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি হিসেবে উঠে এলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও এমডি মুকেশ আম্বানি। শুক্রবার আম্বানির মোট সম্পদ ৩২৬ মিলিয়ন ডলার বেড়ে ৮০.২ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬.০৪ লক্ষ কোটি টাকার সমান। অন্যদিকে, আর্নল্টের মোট সম্পদ ১.২৪ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়ে ৮০.২ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬.০১ লক্ষ কোটি টাকার সমান। এর ফলে মুকেশ আম্বানি চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে এবং বার্নাড আর্নল্ড পঞ্চম স্থানে নেমে এসেছে।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের মোট সম্পদ প্রথমবারের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। জেফ বেজোস ও বিল গেটসের পরে তিনি বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ২০২০ সালের শুরু থেকে তার মোট সম্পত্তি ২২.১ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এই মুহুর্তে জুকারবার্গের মোট সম্পদ ১০২ বিলিয়ন ডলার।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে, রিলায়েন্সের চেয়ারম্যান গত জানুয়ারীর এই সূচকে একলাফে দশ ধাপ অতিক্রম করেছেন। গত মার্চ মাসে তার কোম্পানি জুকারবার্গের সঙ্গে জোট বাঁধার পরে টেলিকম জায়ান্টের কাছে তার তেলের শেয়ারের পরিমাণ ৮৬৭.৮২ টাকা থেকে ১৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দশকের পর দশক ধরে বিশ্বের পাঁচ ধনী ব্যক্তির তালিকায় আমেরিকানরাই প্রাধান্য দেখিয়েছেন। মাঝেমধ্যে, দু’একজন ইউরোপীয় ও এক-আধটি মেক্সিকান গোষ্ঠী এই তালিকায় উঠে এলেও আম্বানি সমস্ত হিসেব উল্টে দিয়েছে। এতদিন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী তালিকায় মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, ফেসবুকের প্রধান মার্ক জুকারবার্গ, বার্কশায়ার হাথওয়ের প্রধান ওয়ারেন বাফেটের নাম দেখে এসেছেন বিশ্ববাসী। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা বেজস বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে বিল গেটসকে টপকে যাওয়ার পরই বিষয়টি উল্টে যায়। তবে তিনিও একজন আমেরিকান ব্যক্তি।