অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা, প্রতারণা এবং আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। এই আর্থিক অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইতিমধ্যে দু’বার ম্যারাথন জেরা করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। যেখান থেকে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাত্র এক বছরের মধ্যেই অস্বাভাবিকভাবে ১০ গুণ বেড়ে গিয়েছে তার সম্পত্তির পরিমাণ।
আয়কর দপ্তর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে রিয়ার সম্পত্তি বেড়েছে ১০ গুণ। যেখানে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে তার মোট সম্পত্তি ছিল ৯৬ হাজার ২৮১ টাকার৷ সেখান থেকে ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে তা প্রায় ১০ গুণ বেড়ে হয় ৯ লক্ষ ৫ হাজার ৫৯৭ টাকা। তাহলে কি তার সম্পত্তি আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন? কারণ যেখানে রিয়ার মাসিক আয় ১.৫ লক্ষ তাহলে মুম্বাই খারের মতো জায়গায় এত দামী সম্পত্তি কীভাবে কিনলেন তিনি? কোথায় পেলেন এতো টাকা?
সোমবার রিয়া, ভাই সৌভিক সহ তার বাবাকে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। একইসাথে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকেও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে মোট কত টাকা তোলা হয়েছে। কতগুলি ব্যাংকে লকার রয়েছে রিয়ার। এছাড়া সুশান্তের দুটি কোম্পানিতে রিয়া ও সৌভিকের শেয়ার কত। পাশাপাশি তার বাবার ভূমিকাও জিজ্ঞেস করা হয়।
তবে অন্যদিকে হাত গুটিয়ে বসে নেই রিয়া চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছেন নতুন হলফনামা। যেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকেই সমস্ত মিডিয়ার তরফে তাকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কিছু প্রমাণ হওয়ার আগেই তাকে দোষী তকমা দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় এর আগে বিহার থেকে মামলা মুম্বাইয়ে স্থানান্তরিত করার জন্যেও হলফনামা জমা দিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী।