দুর্গাপুর : কিছুদিন আগেই কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে ডাক পেয়েছিলেন। পরীক্ষা শেষে অবশেষে বাড়ি ফিরলেন কাঁকসার প্রাথমিক বিদ্যালয়ালের সেচ্ছাসেবক। ২৭ জুলাই প্রথম পর্বের ট্রায়াল প্রয়োগের কাজও শুরু হয়। সেই স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যেই একজন ছিলেন চিরঞ্জিৎ। পশ্চিমবঙ্গের নিকটবর্তী আইসিএমআর অনুমোদিত ওড়িশার ভুবনেশ্বরের দ্য আইএমএস অ্যান্ড এসইউএম ট্রায়াল সেন্টারে হয়েছে এই পরীক্ষা।
দুর্গাপুর থেকে গত চব্বিশে জুলাই ট্রায়ালের জন্য ভুবনেশ্বর রওনা দিয়েছিলেন চিরঞ্জিৎ ধীবর। এরপর ভুবনেশ্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের জন্য সেচ্ছাসেবকদের স্ক্রিনিংও শুরু হয়। সমস্ত স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ২৭ জুলাই প্রথম পর্বের ট্রায়াল প্রয়োগের কাজও শুরু হয়। এর আগে অবশ্য ট্রায়াল দেওয়ার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে কাঁকসার প্রাথমিক বিদ্যালয়ালের শিক্ষক চিরঞ্জিৎ ধীবরকে।
হাইপারটেনশন থেকে শুরু করে হার্টের সমস্যা, কিডনি থেকে লিভারের রোগ সব মিলিয়ে কম করে ৫০ ধরনের টেস্ট করা হয়। তারপরে তার শরীরে কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। ২৯ জুলাই তাঁর শরীরে প্রয়োগ ফের ১২ অগাস্ট প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ডোজও চিরঞ্জিতের শরীরে প্রয়োগ করা হয়।
৭ দিন ও ১৪ দিনের মাথায় অ্যান্টিবডি টেস্ট করার জন্য ৫ এমএল করে রক্ত নেওয়া হয়। ২৬ অগাস্ট তাকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু হিউম্যান ট্রায়ালের এই পর্বে এসেও এখনো সুস্থই আছেন চিরঞ্জিৎ। আজ বাড়িতে ফিরে তিনি বাড়ির সবার সাথে কথাও বলেছেন। তবে তার শারীরিক পরীক্ষার জন্য ১০৪ এবং ১৯৪তম দিনে তাকে আবার ভুবনেশ্বর যেতে হতে পারে।