২৮ শে অগস্ট টানা ১০ ঘন্টা ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েছিলেন সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী। প্রতিদিনই বেড়িয়ে এসেছে নয়া নয়া মোড় এবং মাদক দ্রব্য ব্যবহারের মত চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিয়া চক্রবর্তী এবং তার পরিবার, সিদ্ধার্থ পিঠানি, নীরজ, স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং জড়িত অন্য সব সদস্যকে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে জেরা করা হয়েছে। তাদের সমস্ত জবান রেকর্ড রয়েছে সিবিআই এর কাছে। ফলে পরবর্তীতে যদি কেউ বয়ান পাল্টায় তবে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত স্টেপ নিতে পারবে সিবিআই।
তবে, একটানা ১০ ঘন্টা ম্যারাথন জেরার পরেও সিবিআই কোনোভাবেই সন্তুষ্ট নয়। প্রত্যেকের কথার মধ্যে রয়েছে বিস্তর অসঙ্গতি। এখানেই হয়তো রিয়াদের ছোট্টো ছোট্টো জিৎ। বিশেষ সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে খুব শীঘ্র শুরু হতে পারে পলিগ্রাফি টেস্ট। রিয়া সহ তার গোটা পরিবার এবং সুশান্তের বন্ধু ও পরিচারকের এই টেস্টার আওতায় আনা হবে বলে সূত্রের খবর।
পলিগ্রাফ টেস্ট কী?
খুব সংক্ষেপে যদি বলা যায় তবে পলিগ্রাফ টেস্ট হলো মিথ্যা শনাক্তকরণের উপায়। এই টেস্টে বিভিন্ন ধরনের শরীরিক প্রতিক্রিয়া ধারণ করা হয় যার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয় যে একজন ব্যক্তি সত্য কথা বলছে কি-না। সাধারণত, মিথ্যা বলার সময় মানসিক চাপ বেড়ে যায়……এবং পলিগ্রাফ পরীক্ষার মাধ্যমে আচরণগত এবং মানসিক পরিবর্তনগুলো দেখা যায় যা মানসিক স্ট্রেস-এর সময় হয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও ব্যক্তি পলিগ্রাফ টেস্টকে হারাতে পারে কিন্তু সেজন্য অবশ্যই তাকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রসঙ্গত, শিনা বোরা হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের নভেম্বরে পিটারের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করে সিবিআই।