নিউজবলিউডবিনোদন

‘দুবাইয়ে পাচার হয়ে যেতাম’, বিস্ফোরক উক্তি কঙ্গনা রানাউতের

Advertisement

দুবাইয়ে পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা। মাদক মিশিয়ে ঘনিষ্টতা। একাধিক পুরুষের সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করা ও তাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করা। জোর করে ড্রাগ সেবন করানো। এমনকি চটি দিয়ে মার্…….এই সবকটি অভিযোগ করেন ‘তেজস’ফিল্মের লিড নায়িকা কঙ্গনা রানাউত। সুশান্ত কাণ্ডের জেরে একমাত্র এই অভিনেত্রী সরব হয়েছেন। বাকিরা কোথায়? যাদের জন্য আমরা পকেট ফাঁকা করে সিনেমা হলে টিকিট কাটতে যেতাম তারা কি জানেন না ড্রাগের ব্যবহার নিয়ে? তাহলে কি শুধুই কঙ্গনাই মাদক, যৌন লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন? সম্প্রতি এই বলিউড কুইন তাঁর বহু ভয়ঙ্কর স্মৃতি তাঁর ট্যুইটার একাউন্টে তুলে ধরেছেন। যার প্রতিটা লাইন অনেকটা এরকমই, “আমি যখন মানালি ছেড়েছিলাম তখন আমার ১৬ বছর বয়স।

চন্ডীগড়ে একটি প্রতিযোগিতায় জিতে এক সংস্থার মাধ্যমে মুম্বই এসেছিলাম। কেরিয়ারের শুরুর দিকে হস্টেলে থাকতাম, তারপর এক আন্টির সঙ্গে থাকা শুরু করি। সেসময় এক চরিত্র অভিনেতা আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে এবং বলিউডে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। আমি যে মহিলার সঙ্গে থাকতাম, তার প্রতিও মুগ্ধ ছিলেন ওই অভিনেতা। তারপর আমরা তিনজনে একসঙ্গেই থাকা শুরু করি। ধীরে ধীরে তিনি নিজেই স্বনিযুক্ত পরামর্শদাতা হয়ে উঠলেন। পরে ওই চরিত্র অভিনেতা আন্টির সঙ্গে ঝগড়া করে তাঁকে বের করে দেন। আমার জিনিসপত্র সহ একটা ঘরে রেখে তালাবন্ধ করে রাখেন। আমি যাই করতাম, ওনাকে বলে করতে হত, আমি একপ্রকার গৃহবন্দী হয়ে গিয়েছিলাম।”

কঙ্গনা আরো জানান, “ওই ব্যক্তি আমায় বিভিন্ন পার্টিতে নিয়ে যেতেন। একদিন আমি নেশাগ্রস্ত বোধ করলাম, ওনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলাম। পরে বুঝলাম, এটা স্বেচ্ছায় হয়নি, আমার পানীয়র মধ্যে কিছু মেশানো হয়েছিল। এরপর থেকে ওই অভিনেতা নিজেকে আমার স্বামীর মতো আচরণ করা শুরু করলেন। কিছু বললেই মারধর করতেন। প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলাম, আপনি আমার বয়ফ্রেন্ড নন, বলতেই আমায় চটি দিয়ে মারলেন।” কঙ্গনার প্রতিবাদী কণ্ঠ গোটা বলিউডের মুখোশ খুলে দিতে পারে তারই আভাস পাওয়া যায় তারই কণ্ঠে। বর্তমানে কঙ্গনা একজন সফল ও চর্চিত অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন।

Related Articles

Back to top button