মাঝে মধ্যেই সুশান্ত কান্নায় ভেঙ্গে পড়তেন। ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন সুশান্তের প্রাক্তন হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল। কিন্তু কেন তিনি কাঁদতেন? যেই অভিনেতা ‘পিকে’; ‘এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’,’ছিছোড়ে’র মতো বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তিনি ঠিক কি কারনে কাঁদতেন? এই ব্যপারগুলি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। সম্প্রতি রিয়া চক্রবর্তী একটি গনমাধ্যমে এসে সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, সুশান্ত তাঁর মাকে খুব মিস করতেন এবং ইউরোপ ট্যুরে তিনি একটি বিভতস ছবি দেখে ডিপ্রেশনে চলে যান। সিবিআই এর কাছে এই পপ্রত্যেকটি কথাই ভ্রান্ত লেগেছে। অমুলুক গল্প বানাচ্ছেন রিয়া এব্যপারে স্পষ্ট সিবিআই । ঠিক এই সময়েই সুশান্তের প্রাক্তন হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে জানিয়েছেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কী সেই তথ্য?
স্যামুয়েল মিরান্ডা জানান, সুশান্তের বর্তমান কর্মচারীরা, পরিচারকরা এবং প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী নাকি সুশান্তের মাথায় ঢুকিয়েছিলেন যে তিনি আগে যে বাড়িতে থাকেন সেটি ভূতুড়ে। ওই বাড়িতে সুশান্ত নাকি মাঝেমধ্যেই রাতে ঘুম থেকে উঠে বেডরুমের বাইরে এসে ঈশ্বরের মূর্তি জড়িয়ে ধরতেন এবং কিছুক্ষণ পর সেই মূর্তি সঙ্গে নিয়ে ফের নিজের ঘরে চলে যেতেন।
এই ধরনের আচরণ শুরু হয় কবে থেকে? এর উত্তরে স্যামুয়েল জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ইউরোপ ভ্রমণ থেকে ফিরে আসার পর থেকেই সুশান্ত বিভিন্ন অস্বাভাবিক ব্যবহার করতে শুরু করে।মাঝেমধ্যেই নাকি সুশান্ত অসুস্থ বোধ করতেন এবং নিজের ঘরে একাই সময় কাটাতেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ এ রিয়া, সুশান্ত ও সৌভিক তিনজন একসঙ্গে ইউরোপ ট্যুরে যান। তবে কি সেখান থেকেই মাদকের ব্যবহার করতেন রিয়া সুশান্তের অজান্তে?
এছাড়াও, ৮ই জুন মৃত্যুর ঠিক কয়েকঘণ্টা আগে পার্টিতে মত্ত ছিলেন দিশা। সেদিনই ঘটে দিশার আকস্মিক মৃত্যু। এরপরেই সুশান্ত সিং রাজপুতের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি বলেন, “সুশান্তই আমাকে বলেছিল হার্ড ড্রাইভ থেকে দিশার যাবতীয় ভিডিয়ো মুছে ফেলতে। দিশার মৃত্যুতে ওঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় খুবই ভেঙে পড়েছিল সুশান্ত। সুশান্তের পুরনো ম্যানেজার অসুস্থ হয়ে পড়ায় দিশাই আবার সব সামলাচ্ছিল’। সিদ্ধার্থ এও জানায়, “সুশান্তের দিদি আসলে ওঁর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে। অজ্ঞানও হয়ে যায়। দিশার মৃত্যু কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেনি সুশান্ত”।