সুশান্ত কেসে ঘটনার প্রধান সন্দেহকারী ব্যক্তি হলেন রিয়া চক্রবর্তী। অভিনেত্রী রিয়াকে ঘিরেই উঠে এসেছে একের পর এক নাম। এখনো পর্যন্ত সিবিআই একাধিকবার রিয়া ও সুশান্তের টিমকে জেরা করেছে। তবে,মঙ্গলবার মুম্বইয়ের ডিআরডিও গেস্টহাউসে রিয়ার ডাক না পড়লেও সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছে শৌভিক ও রিয়ার মা ও বাবা কে। প্রসঙ্গত, রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। উঠে এসেছে মাদক লেন দেনের প্রমাণসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু নাম ও মাদকের নাম। ইতিমধ্যে, সিবিআই সোমবার সিবিআই রিয়া চক্রবর্তী, শৌভিক, শ্রুতি মোদী, জয়া সাহা, সিদ্ধার্থ পিঠানি, সুভেদ লোহিয়া, নিরজ সিং, গাড়ির চালক রজ্জাক ও ওয়াটারস্টোন রিসর্টের ২ কর্মীকে ডেকে পাঠায়।
এখন প্রশ্ন হল কে এই সুভেদ লোহিয়া? এঁর নাম সুশান্ত কেসে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হল। উল্লেখ্য, সুভেদ লোহিয়া হলেন একজন টেলিভিশন অভিনেতা এবং ও রিয়ার খুব ভালো বন্ধু বটে। গোয়ার হোটেল মালিক গৌরব আর্যের পাশাপাশি মাদক ষড়যন্ত্রে নাম জড়িয়েছেন এই সুভেদেও। এর থেকে কি স্পষ্ট নয় যে রিয়ার আশেপাশে যারা ছিলেন তাঁরা কোন না কোন ভাবে মাদক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত? বাড়ছে ধোঁয়াশা, খুলছে মুখোশ, হচ্ছে পর্দা ফাঁস।
এবার সুভেদের সঙ্গে রিয়ার মাদক লেনদেন নিয়ে সিবিআই বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে বলে সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি বলিউডের কোন কোন মাথা জড়িয়ে আছে তারও তল্লাসি চালাবে এনসিবি।
এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবরে, সিবিআই এও দেখছে যে ঠিক কি ধরনর পার্টি হত সুশান্তের বাড়িতে, সুশান্তের প্রতিবেশীরা জানিয়েছিল যে সুশান্তের বাড়িতে প্রায় দিনিই হাউস পার্টি হত। সুশান্তের কাছের বন্ধুরা সেই পার্টিতে হাজির হতেন। এমনকি সুশান্ত নিজে মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতেন বোলে দাবি করেছেন সুশান্তের বাড়িরই এক কর্মী। তদন্ত চলেছে, সমস্ত ব্যপারে বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।