বীরভূম: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান হল বিশ্বভারতী। কিন্তু যতদিন এগিয়েছে ততই কালিমালিপ্ত হয়েছে বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণ। আর এবার তাতে নতুন যোগসুত্র হল বিশ্বভারতীতে ইডির হানা।
মেলার প্রবেশদ্বার ভাঙচুর, চুরমার প্রাচীর তৈরির সামগ্রী, পৌষ মেলার মাঠ ঘিরে অশান্তিতে তোলপাড় হয় বিশ্বভারতী। এই প্রতিষ্ঠান ফুলের পাপড়িতে দোল খেলার জন্য বিখ্যাত। রবীন্দ্রনাথের পদধূলিতে মুগ্ধ বিশ্বভারতী। আর সেখানে এরকম বিশৃংখলা নাড়িয়ে দিয়েছিল রাজ্যবাসীকে। এই অশান্তি মূলক ঘটনার গোটা তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ইডিকে। তাই সেই তদন্তের স্বার্থে এর তিন সদস্যের দল উপস্থিত হয়েছে বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে। বৈঠক করবেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে।
ইডির তরফ থেকে ইতিমধ্যেই বীরভূমের পুলিশ সুপারের কাছ থেকে সেদিনকার ঘটনার এফআইআরের কপি চেয়ে এবং অন্যান্য নথি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখছে ইডি। সেদিনের ঘটনায় যারা যুক্ত ছিল, যারা ক্যাম্পাসে ঢুকে ভাঙচুর চালায়, বিশৃংখলার পরিস্থিতি তৈরি করে, তাদের কী উদ্দেশ্য ছিল? এই কাণ্ড ঘটানোর জন্য পেছন থেকে তাদের কেউ ইন্ধন জুগিয়েছিল কিনা বা তাদেরকে কোনও টাকা দেওয়া হয়েছে কিনা এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে ইডির তিন সদস্যের দল।
সেই কারণে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করা হবে। সেখান থেকে কোনও তথ্য উঠে আসে কিনা, এখন সেটাই দেখার।