কলকাতা: ফের আরও একবার অভিযোগের তীরে কলকাতা মেডিকেল কলেজ। চরম গাফিলতির অভিযোগে আরও একবার কাঠগড়ায় মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল মহল। চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রান গেলো কৃষ্ণদাস সূত্রধর নামক ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার ইঞ্জিনিয়ারের। তার বাড়ি টালিগঞ্জ-এর কুঁদঘাটে।
গত ২৫ জুলাই শ্বাসকষ্ট নিয়ে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি হয় কৃষ্ণদাস সূত্রধর। বিগত দুই বছর ধরেই তার হার্টের সমস্যা ছিলো। এদিন হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরে ২৮ জুলাই কৃষ্ণদাসের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপরেই তার চিকিৎসা শুরু হয়।
কিন্তু তার পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় কৃষ্ণদাস ফোন করে জানান তার হার্টের কোন চিকিৎসাই করা হচ্ছেনা। এমনকি তাকে হার্টেরও কোনরকম ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। এভাবেই দিন কয়েক কাটার পর অগাস্টের শেষের সপ্তাহে তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু এসবের মাঝেই ঘটে অঘটন। গত সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে পরিবারকে ফোন করে জানানো হয়, কৃষ্ণদাসের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। হাসপাতাল থেকে জানানো হয় রোগীর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে। তাঁকে সুস্থ রাখার জন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে।
পরে ওইদিনই সন্ধ্যায় মেডিক্যাল কলেজের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে ওই রোগীর পরিবার । তখন হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, কৃষ্ণদাস সূত্রধর নামে কোন রোগী সিসিইউ-তে ভর্তি নেই। এই ঘটনা শোনা মাত্রই চমকে যায় কৃষ্ণদাস সূত্রধরের পরিবারের লোকজন।
পরে বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রী এবং সন্তান যখন কুঁদঘাটের বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসার সময় হাসপাতাল থেকে ফোন করে রোগীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। আর এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কৃষ্ণদাস সূত্রধরের ছেলে। তার মত তার বাবা সোমবারই মারা গিয়েছেন, কিন্তু হাসপাতাল থেকে সেই খবর লুকিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান প্রথম থেকেই তার বাবার প্রতি যথেষ্ট অবহেলা করেছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর এতোকিছুর পরেও হেলদোল নেই চিকিৎসা বিভাগের।