একদিকে বলিউডের মাদক যোগ নিয়ে নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর তদন্ত, অন্যদিকে, অভিযোগ উঠে আসে কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে আরেক নামি অভিনেত্রীর নাম। এই অভিনেত্রী ২০০৯-এ ‘বীর মাদাকারি’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন, এরপর একের পর এক মুভি করে গেছেন। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য মুভি হল ‘কেম্পে গৌড়া’,’রাগিনী আইপিএস’,’শিবা’,’বাঙ্গারি’। আন্দাজ করতে পারছেন কে সেই অভিনেত্রী?
উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ(সিসিবি)-এর একটি দল এই অভিনেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সিসিবি-র আধিকারিকরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রাগিনীর বাড়িতে তল্লাশির আবেদন জানান। এরপর আদালতের অনুমতি পাওয়ার পরেই শুক্রবার ভোর ৬.৩০টা নাগাদ সিসিবি-র ৬ জন পুলিশকর্মী ও একজন মহিলা পুলিশকর্মী সহ হানা দেন অভিনেত্রীর বেঙ্গালুরুর বাড়িতে। এই অভিনেত্রী বলিউডের কেউ নন, ইনি হলেন রাগিনী দ্বিবেদী।
উল্লেখ্য, ৩ সেপ্টেম্বর রাগিনীকে তলব করেছিল সিসিবি। কিন্তু, তিনি নিজে না-গিয়ে তাঁর আইনজীবীকে পাঠান অভিনেত্রী। এরপর, ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানান, এত কম সময়ের মধ্যে তাঁকে ডেকে পাঠানোয়, তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি তিনি এও জানান, “এক জন নাগরিক হিসেবে পুলিশের সঙ্গে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা কর্তব্য বলেই মনে করি। কোনও কিছু গোপন করার বিষয় নেই। কোনও অসাধু কাজের সঙ্গেও জড়িত নই আমি।” এরপরই শুক্রবার সকালবেলায় তাঁর বাড়িতে রেড চালায় সিসিবি। সেই সময় বাড়িতেই উপস্থিত ছিলেন রাগিনী। তাঁর বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য। এরপরেই, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২১ অগস্ট কর্নাটকে একটি মাদক চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। সেইসময়, গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন মাদক পাচারকারীকে। এরইমধ্যে এক অভিযুক্ত ডায়েরিতে কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ১৫ জনের নামের উল্লেখ করেছিলেন। সেখান থেকেই উঠে আসে রাগিনী দ্বিবেদীর নাম। রাগিনীর নামের পাশাপাশি উঠে আসে আরও দুটি নাম, তারাও মূলত অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত। সেই দুজন হলেন -রাহুল এবং বীরেন খান্না।