দীঘা: একে দীর্ঘসময়ের লকডাউনের কারণে ঘরবন্দি বাঙালি তিতি বিরক্ত। যদিও আনলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে নিউ নর্ম্যালে ফিরছে সকলে। তাও বাজারে গিয়ে সেই মুখ ভার বাঙালির। কারণ, মরশুম চলে যাওয়ার সময় হলেও ইলিশের দেখা নেই। যেটুকু ইলিশ ছিল বা আছে তা একেবারে অগ্নিমূল্য, ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে মরশুম একেবারে শেষ হয়ে যাওয়ার আগে বাঙালিদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে মৎস্যজীবীরা। প্রায় ৩৫০০ টন ইলিশ মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভোজনরসিক বাঙালির মুখে এই খবর হাসি ফুটিয়েছে।
এ বিষয়ে ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সহ সম্পাদক বিজন মাইতি জানায়, দীর্ঘ দিনের দুর্যোগের ফলে মৎসজীবীরা মাছ ধরতে না পারায় একটু চিন্তা ছিল। তবে পাঁচ হাজারের বেশি ট্রলার গত ২৮ আগস্ট সমুদ্রে যাওয়ায় শুক্রবার অবধি ৩৫০০ টনেরও বেশি মাছ জালে ধরা পড়ে। মৎসজীবিরা জানিয়েছেন, ৬০০-৮০০ গ্রামের মাছ যেমন রয়েছে, তেমনই ১কেজি থেকে ১,২০০ গ্রামের মাছও ধরা পরেছে জালে। কিছুদিনের মধ্যে এইসব মাছ বাজারে চলে আসবে বলেও জানা গিয়েছে। এমনকি কিছুদিন বাদে ইলিশের মরশুম চলে যাবে বলে মৎসজীবিরা চেষ্টা করছেন আরও কিছু মাছ জালবন্দী করে বাজারে পৌঁছে দিতে।
টন টন ইলিশ জালে ধরা পড়ার ফলে দাম কিছুটা কমবে কিনা, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি। তবে কিছুটা হলেও কমতে পারে বলে আশা করছে খাদ্যরসিক বাঙালি। মরশুম শেষ হওয়ার আগে ইলিশের আগমন বাঙালিকে যেমন ঘরবন্দি হওয়ার দুঃখ ভুলিয়ে দেবে তেমন বাঙালির জিভের স্বাদকেও তৃপ্ত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই সমস্ত ইলিশের দাম কত হবে, তা নিয়ে অবশ্য পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি।