বছরের শুরু থেকেই একে একে ছড়িয়ে পড়েছিলো মারণ ভাইরাস। প্রথমে চিন, পরে স্পেন, ইতালি, আমেরিকা অবশেষে ভারত। বিগত কয়েক মাসে এই অতিমারির কারণে তছনছ হয়ে গিয়েছে সারা বিশ্ব। মারা গিয়েছে বহু মানুষ, এখনো আক্রান্ত অনেকে। কিন্তু আগের থেকে তাও অনেকটাই বেড়েছে সুস্থতার হার। কিন্তু তবুও যেন শান্তি নেই কারোর। সব কিছুর মধ্যেই রয়ে গেছে একটা কুণ্ঠা বোধ।
বিশ্বের সব দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণে শীর্ষ তালিকার প্রথমে আছে আমেরিকা, দ্বিতীয় স্থানে ছিলো ব্রাজিল এবং তৃতীয় স্থানে ছিলো ভারত। করোনা সংক্রমণের কারণে সারা দেশে ভেনে পড়েছে অর্থনৈতিক অবস্থা। এমনকি তার প্রভাব পড়েছে জিডিপিতে। লকডাউন চলাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইটালির মতন দেশে জিডিপি পড়েছে ১২.৪ ও ৯.৫ শতাংশ। এমনকি ভারতে জিডিপি পতনের হার ২৩.৯।
দেশের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার পাশাপাশি খারাপ দিকের সম্মুখীন হয়েছেন এসব দেশের আমজনতা। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি চাকরি চলে যাওয়া সব মিলিয়ে একটা চরম খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে প্রত্যেকটা দেশ। এসবের মাঝেই এদিন আবারও নতুন বিপদের অশনি সংকেত দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। বিশ্বকে আগামী মহামারীর জন্য আরও ভাল ভাবে প্রস্তুত হতে হবে বলে জানান তিনি।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম ঘেব্রেয়েসাস জানান, “ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় যে মহামারী জীবনে আসবেই, তবে ভেঙে পড়লে চলবে না৷ পরের মহামারী এলে বিশ্বকে অবশ্যই আরও শক্ত হাতে তার মোকাবিলা করতে হবে এবং তার প্রস্তুতি এখন থেকেই নিয়ে রাখতে হবে”। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনে প্রথম করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। করোনায় মারা গেছেন প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ। আর এরপরে আরো একবার নতুন করে মহামারির আসার খবর পাওয়া মাত্র যথেষ্ট উদ্বিগ্ন পৃথিবীবাসি।