ভারত : করোনায় মৃত্যু ঠেকাতে প্লাজমা থেরাপির কোনও ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেশের শীর্ষ চিকিৎসা সংস্থার এই মতামতে নতুন করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ভারতের আম জনতা। চিকিৎসকদের অনেকেরই মত ওই প্লাজমায় থাকা অ্যান্টিবডি রোগীর প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু তাতে কোনই লাভ হচ্ছেনা বলে বিজ্ঞানীদের মত।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য বলছে, একদিনের সর্বাধিক সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে প্রায় এক মাস ধরে শীর্ষে রয়েছে ভারত। প্রতিদিনই রেকর্ড হারে করোনা সংক্রমণ ব্রাজিল এবং আমেরিকারকে যে কোন মুহূর্তে পেছনে ফেলে দেবে। মঙ্গলবার দেশজুড়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৩৩ জনের। বুধবার একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১,১১৫ জনের। রেকর্ড হারে করোনা সংক্রমণে দুদিন আগেই ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে আসে ভারত।
তবে সেই তুলনায় প্রথম স্থানে আছে আমেরিকা, সেখানে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৬৪ লক্ষ ৬০ হাজার ২৫০। সোমবার থেকে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে বিশ্ব-তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। চলতি সপ্তাহের সোমবার ৯০ হাজার করোনা আক্রান্তর রেকর্ড ছিলো সারা দেশে। সোমবার দেশে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৪২ লক্ষ ৪ হাজার ৬১৩। আর ব্রাজিলের মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৪১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬০৬।
এমনকি সম্প্রতি এক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কোনও উপসর্গ ছাড়াই করোনা ভাইরাস বহুদিন শিশুর শরীরে থাকতে পারে। এমনকী করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও কোনও শিশুর শরীরে থেকে যেতে পারে এই মারণ ভাইরাস। শিশুরা ভাইরাল জেনেটিক পদার্থের আরএনএ অনেক দিন ধরে শরীরে বহন করে তাই তাদের শরীরে এই ভাইরাস থাকলেও তা দজরা পড়েনা। ২২ টি হাসপাতালের ৯১টি সংক্রমিত শিশুকে পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকরা। এমনকি শিশুদের মধ্যে যেহুতু কোনও উপসর্গ ধরা পড়ছে না, অথচ শরীরে রয়েছে করোনা ভাইরাস, তাই খুব সহজেই অন্যদের ,অধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আবার অন্যদিকে প্লাজমা থেরাপিও কাজ না করা সব মিলিয়ে করোনা সংক্রমণে ক্রমশ খারাপ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ভারত।