কলকাতা : একের পর এক ঘটনায় উত্তাল কলকাতা মেডিকেল কলেজ। কখনো চিকিতসকদের বেপরোয়া মনোভাব, কখনো বা করোনা ওয়ার্ডএ আত্যহত্যা। সব মিলিয়ে প্রতিদিনই এক একটা ঘটনায় সরগরম মেডিকেল কলেজ। আর গতকাল যা ঘটলো, তারপরে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে কলকাতাবাসী। সম্ভবত এর আগে এরকম নোংরা আর ঘৃণ্য আচরণ ঘটেনি হাসপাতালের ভেতর। গতকাল রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ হস্টেলের চারতলায় হঠাৎ করেই কয়েকজন মহিলা চিকিৎসক দেখতে পান এক যুবক প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন করছে।
আর এরপরেই শুরু হয় চরম হুলুস্থুলু। মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের চিৎকারে সম্বিত ফিরে পেতেই পালানোর চেষ্টা করেন ওই যুবক। এরপরে লিফটের পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলতে থাকা, অন্য এক মহিলা চিকিৎসককে জড়িয়ে ধরে তাঁর মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ওই উন্মত্ত যুবক। এই ঘটনায় চিৎকার শোনা মাত্রই তাকে বাঁচাতে দৌড়ে আসেন, হোস্টেলের অন্যান্য মহিলা চিকিৎসকরা।
সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বউবাজার থানায়, এরপর পুলিশকর্মীরা এসে হস্টেলের ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত কলেজের বাকি মহিলা ডাক্তারেরাও। তাদের মধ্যে এক মহিলা চিকিৎসক তথা লেডিস হস্টেলের আবাসিক বলেন, “এই ঘটনা আমাদের মধ্যে প্রচণ্ড ভয়ের সৃষ্টি করেছে, আদৌ কি আমাদের নিরাপত্তা বলে কিছু আছে?
আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে বারবার করে হাসপাতালের প্রিন্সিপাল থেকে শুরু করে অন্যান্য আধিকারিকদের জানানো হয়েছে”।অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম পিন্টু রায়। সে বউবাজার প্রেম চাঁদ বড়াল স্ট্রিটের বাসিন্দা। কিন্তু কেনই বা সে লেডিস হস্টেলের চারতলায় গেলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।