নয়াদিল্লিঃ এবার ফেব্রুয়ারির দিল্লি হিংসার চার্জশিটে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, অধ্যাপিকা জয়তী ঘোষ, স্বরাজ পার্টি প্রধান যোগেন্দ্র যাদব, অধ্যাপক অপূর্বানন্দ ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রাহুল রায়ের নাম থাকার কথা অস্বীকার করল দিল্লি পুলিস।
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারির দিল্লি হিংসায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছিলো দিল্লি পুলিশ তাতে নাম ছিলো স্বরাজ পার্টি প্রধান যোগেন্দ্র যাদবের, সিপিআইএম জেনারেল সেক্রেটারি সীতারাম ইয়েচুরির, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অপূর্বানন্দ-এর, অর্থনীতিবিদ জয়তী ঘোষের, চলচিত্র পরিচালক রাহুল রায়ের। এমনকি এই ঘটনায় সীতারাম ইয়েচুরির নাম উল্লেখ করায় দিল্লি পুলিস ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন সূর্যকান্ত মিশ্র। এই ঘটনায় তদন্তের নামে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ সম্পূর্ণ সাজানো মামলা দায়ের করেছে বলে মত সূর্যকান্ত মিশ্রর।
এরপরেই এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মহল। সীতারাম ইয়েচুরি জানান, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে দিল্লি পুলিস। পুলিসের এইসব কাজকর্ম থেকে স্পষ্ট বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের চরিত্র কেমন। সিএএর মতো আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করার অধিকার আমাদের সংবিধান দিয়েছে। এর মোকাবিলা আমরা করবো”। এমনকি এদিনের এই ঘটনায় সরব হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। তিনি বলেন, ”দিল্লি পুলিস আসলে আরএসএসের উইং হিসাবে কাজ করছে। স্বৈরাচারি মনোভাব দেখাচ্ছে সরকার। কারও কিছু বলার অধিকার নেই। সবাইকে চুপ করে মুখ বুজে থাকতে হবে। সরকার প্রতিটি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সক্রিয়ভাবে কাজে লাগাচ্ছে।
আজ সীতারাম ইয়েচুরিকে ফাঁসানো হয়েছে। কাল আমাদের মধ্যে যে কাউকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হতে পারে। সরকার বিরোধীদের টুঁটি চিপে ধরতে চাইছে আসলে। সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা নোংরা রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়”।