নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশ কয়েকদিন ধরেই পিছিয়ে গিয়েছে বাদল অধিবেশন। তবে আজ, সোমবার থেকে এই অধিবেশন শুরু হয়েছে। আঠারো দিন ধরে চলবে এই অধিবেশন। যদিও প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং জিরো আওয়ার ছেঁটে ফেলা হয়েছে। তবে এই অধিবেশন থেকে যৌথভাবে সকলকে সেনাদের পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিরোধীদের উদ্দেশ্যে প্রারম্ভিক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাতৃভূমিকে রক্ষা করতেই সীমান্তে যে সাহসিকতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে ভারতীয় সেনারা লড়াই করছে, সেখানে গোটা দেশ তাদের পাশে আছে, ঐক্যবদ্ধভাবে এই বার্তাই সেনাদের কাছে সংসদ থেকে পৌঁছে দেওয়া উচিত। আমার বিশ্বাস, সংসদের সকল সদস্য এ বিষয়ে সহমত পোষণ করবেন।’
অধিবেশন শুরু হলে করোনা পরিস্থিতি, মন্দা অর্থনীতির পাশাপাশি ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা অধিবেশনের আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠবে, তা আগে থেকেই টের পাওয়া গিয়েছিল। আর তাই অধিবেশনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর এ হেন বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও প্রশ্নোত্তর পর্ব ও জিরো আওয়ার ছেঁটে ফেলা নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে অধিবেশন শুরুর আগে থেকেই মতান্তর চলছিল। এমনকি এ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সরবও হয়েছিলেন। তার মধ্যে ভারত-চিন সীমান্ত প্রসঙ্গে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন মোদি।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই সংসদের অধিবেশন শুরু হল। দূরত্ব বজায় রেখে দুটি কক্ষ মিলিয়ে সকলের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুটি করে জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। সংসদে ঢোকার মুখে মেডিকেল চেকআপ এবং থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়েছে। যদিও এই অধিবেশনে শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।