কলকাতা: দমদম থেকে কবি সুভাষের পাশাপাশি মেট্রো চলছে সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্তও। কিন্তু সেই তুলনায় মিলছে না যাত্রী কারণ অনেক মানুষ এখন বাড়িতেই কাজ করছেন আবার অনেকে রাস্তায় কম বেড়োচ্ছেন। জানানো হয়েছে ২০ মিনিটের বদলে মেট্রো চালানো হবে ৩০ মিনিট অন্তর৷ ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি চালু হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো।
করোনার কারণে লকডাউনের জন্য মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বন্ধও হয়ে যায় । তাই মেট্রো নিয়ে সে ক্ষেত্রে প্রচার হয়নি। এমনকি সল্টলেকের একাধিক বাসিন্দাদের নিজেদের গাড়িও রয়েছে। এমনকি অনেকেই মেট্রো, টোটো বা রিকশা করে যাতায়াত করছেন। এছাড়াও রয়েছে ওলা , উবের সহ একাধিক বাস তাই তেমন করে ভিড় হচ্ছে না মেট্রোতে। আর যে এলাকায় স্টেশন, সেখানে ব্যবহারকারীর সংখ্যাও অনেক কম। এমনকি সল্টলেকের একাধিক আইটি অফিসের কাজই এখন বাড়িতে বসে চলার কারণেও এই চত্বরে কমেছে মানুষের আনাগোনা।
মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশী জানিয়েছেন, “শীঘ্রই ফুলবাগান নিয়ে আবেদন জানানো হচ্ছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির কাছে, যাতে পরিষেবা দ্রুত চালু করে দেওয়া যায়”। প্রসঙ্গত, সোমবারই দেখা গিয়েছে মেট্রোয় চাপার জন্য অসংখ্য যাত্রীর কাছে অ্যাপ ডাউনলোড করার মতো উপযুক্ত মোবাইল ছিলো না।
বা কারোর ছিলো না হাই স্পিড ইন্টারনেট। আবার অনেকের আধুনিক মোবাইল ফোন থাকলেও তারা মেট্রোয় নিয়মিত যাত্রী নন বলে স্মার্ট কার্ড করান নি। আবার এসব পেড়িয়ে যাঁদের সব আছে, তাঁরা স্টেশনে এসেও অন্যের সাহায্যে অ্যাপ ডাউনলোড করতে গিয়ে দেখলেন মেট্রো সার্ভার-ই ডাউন। সব মিলিয়ে মেট্রো রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে কলকাতাবাসীর। অন্যদিকে আগের তুলনায় লোক কমেছে ইস্টওয়েস্ট মেট্রোতে।