পশ্চিমবঙ্গঃ চতুর্থ দফায় আনলকে শুরু হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। কেন্দ্রের গাইডলাইনে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের শর্তসাপেক্ষে স্কুল যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতিও ছিলো।কিন্তু রাজ্যে প্রতিদিন যে হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ তাতে যথেষ্টই চিন্তিত প্রত্যেকটা মানুষ। এমনকি এই অবস্থায় স্কুল খোলার বিষয় নিয়েও যথেষ্ট আতঙ্কিত স্কুল পড়ুরা এবং তাদের অভিভাবকরা।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, “হু হু করে বাড়ছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে কোনভাবেই এখন স্কুল খোলার কথা ভাবা যাবে না।” এদিন শিক্ষামন্ত্রীর এই মত নিয়ে কেন্দ্রের প্রতি তার বিরোধিতার বার্তা সাফ হয়েছে। যদিও রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই তার এই সিদ্ধান্ত কিন্তু কেন্দ্র তা ভালো চোখে নেবে কিনা সেটাই বড় বিষয়।
এমনকি উচ্চমাধ্যমিকে পাওয়া নম্বর নিয়েও এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন “যারা ৯৬ বা ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে তাদের তো আগে ভর্তি নিতে হবে। যাতায়াতের সুবিধা আছে এমন কলেজেও ভরতি ঝোঁক বেশি। ভরতি হতে পারছে না এই কথাটা আপত্তিজনক। আমাদের সরকার স্নাতকে সবাইকে ভরতি করাতে বদ্ধপরিকর। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা সবাই ভরতির সুযোগ পাবে। আগে বিভিন্ন কলেজে পরিকাঠামোর অভাব ছিল।
এখন তা নেই। কলেজ বেড়েছে, আসন সংখ্যা বেড়েছে, শিক্ষকদের সংখ্যা বেড়েছে। নির্দিষ্ট কলেজে আসন ভরে গেলে অন্য কলেজে ভর্তি হতে হবে।” এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্রের সাথে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর একাধিক বার মতবিরোধ হয়েছে। কিন্তু তাও এদিন রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভেবেই শিক্ষামন্ত্রী এই কথা বলেন।