১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকও নিস্ফলা, দুই পক্ষই সেনা বাড়াবে সীমান্তে

১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকের পরেও ভারত এবং চিনের অবস্থার পরিস্থিতি বদলানোর কোনও সম্ভাবনা নেই৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দু পক্ষই আরও বেশি সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করবে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই চিন জানিয়েছে চূশূলে…

Avatar

১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকের পরেও ভারত এবং চিনের অবস্থার পরিস্থিতি বদলানোর কোনও সম্ভাবনা নেই৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দু পক্ষই আরও বেশি সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করবে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই চিন জানিয়েছে চূশূলে কৌশলগত ভাবে পাহাড় চূড়োগুলি থেকে সরে যেতে হবে ভারতীয় বাহিনীকে৷ অন্যদিকে ভারতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যতোক্ষন পর্যন্ত চিন নিজেদের সেনা না সড়াবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনীর অবস্থানে কোনও বদল ঘটানো হবে না৷

আলোচনার পর দুই বাহিনীর কর্প কমান্ডাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সারা বছরই নজরদারি চালাতে হবে এবং সেনা মোতায়েন করে রাখতে হবে৷ প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে প্যাংগংয়ের উত্তরের এলাকা মোট ৮টি জায়গা রয়েছে সেখানে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত এতদিন টহল দিত ভারত।

আর এখন ফিঙ্গার ফাইভ পর্যন্ত এগিয়ে এসে ভারতীয় বাহিনীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে চিন। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে প্যাংগং লেকের উত্তরে ভারত চিন দুপক্ষই ১০০-২০০ রাউন্ড ওয়ার্নিং শর্ট ছুড়েছিল। জানা গিয়েছে এর আগে গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ে রাইফেল ও বর্শার মতো অস্ত্র ব্যবহার করেছিল চিনা সেনা।

কিন্তু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু সেখানে এখনো প্রবেশ নিতে পারেনি চিন।চিন আর ভারতের পরিস্থিতি এতোটাই উত্তপ্ত, যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে আগামী শীতে দুই পক্ষেরই অন্তত ৫০ হাজার করে সেনা মোতায়েন করা হতে পারে লাদাখের দুর্গম এবং প্রতিকূল পরিবেশে।

 

About Author