দিল্লিঃ সামনের বছরের ভোটকে অনেকেই পাখির চোখ করে রেখেছে। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হল বিজেপি এবং তৃণমূল। এই দুপক্ষই কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও ছাড়তে রাজি নয়। গতকাল রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে লেখা হয় এই রাজ্য সরকারকে রেখে কোনও ভাবেই ভোট করা যাবে না। আবার অপর দিকে মঙ্গলবার দিল্লিতে নাড্ডার বাড়িতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে বসেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা, বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ এবং অরবিন্দ মেননের।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষেই সওয়াল করেন। তারা বলেছেন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থাকলে এ রাজ্যে যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসতে চাইছেন তাঁরা সেটা অনায়াসেই করতে পারবেন। অন্যদিকে আবার রাষ্ট্রপতি শাসন থাকলে এ রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন তৃণমূলকে সাহায্য করতে পারবে না তারা বিজেপিকেই সাহায্য করবে।
অন্য দিকে শোনা গেছে একুশের আগেই রাজ্যে হতে পারে বিধানসভা উপনির্বাচন। আপাতত এটাকেই লক্ষ করে কাজ এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা বিধানসভা উপনির্বাচনের লক্ষ্যে এবার দায়িত্ব নিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ওই বিধানসভাতেই রাজীবের সঙ্গে দায়িত্ব রয়েছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। জিততে মরিয়া তৃনমূল এখন সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফালাকাটার ছাড়াও ভোট হতে পারে হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রেও। এর আগে কালিয়াগঞ্জে বিধানসভা উপনির্বাচনে ও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজীবকে। কালিয়াগঞ্জে লোকসভা নির্বাচনে ৫৮ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল। জেতার অস্ত্র হিসেবে এখন থেকেই তারা জোরকদমে প্রচার চালাতে শুরু করে দিয়েছে।