কৃষি বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই চলতি সপ্তাহে কেন্দ্র আর বিরোধিদের তরজা প্রতিদিনই একধাপ নতুন ঝগড়ার দিকে এগোচ্ছে। রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করার পর এবার কৃষি বিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করল বিরোধীরা। ওই বিলে স্বাক্ষর না করতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করে বিরোধিরা।
কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত বিল নিয়ে ঝামেলা এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গড়ায় ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের কাছ থেকে মাইক্রোফোন ও রুল বুক নিয়ে টানাটানি করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। প্রসঙ্গত, কৃষি বিল পাশ করানো নিয়ে ওই দিন কোনোকিছুই বাদ যায়নি। সেই ঘটনার শাস্তি হিসাবে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও দোলা সেন সহ মোট আটজন বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।
Delhi: Ghulam Nabi Azad, Leader of Opposition, Rajya Sabha, called on President Kovind at Rashtrapati Bhavan, today. pic.twitter.com/V0k7b8IHw7
— ANI (@ANI) September 23, 2020
সেই তালিকায় ছিলেন কংগ্রেসের সৈয়দ নাসির হুসেন, রাজীব সতাভ, রিপুন বোরা, সিপিআইএম-এর কেকে রাগেশ, আপের সঞ্জয় সিং, সিপিআইএম এর এলামারাম করিম। আর এই ঘটনার পরেই সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়ে এ দিন রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাম দলের সাংসদরা। সব মিলিয়ে তরজা যখন তুঙ্গে তখন রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাত করে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, সরকার একেবারে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদে কৃষি বিল পাস করিয়েছে।
তাই আপনি ওই বিল ফেরত পাঠান। আর এসবের মাঝে ইতিমধ্যেই কেরল সরকারের দাবি করেছে ১৯৫৫ সালের আইন সংশোধন করে যা করা হয়েছে তা কৃষকদের স্বার্থ বিরোধী, যে আইন করা হল তা দেশের ব্যবসায়ীদেরই পেট ভরাবে। এই নিয়ে সংসদে মোট তিনটি কৃষি সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। ব্যবসায়ী ও মজুতকারীরা সুবিধের জন্য পাশ হয়েছে আরো একটি বিল।