কলকাতাঃ প্রতিটি দুর্গাপুজো কমিটির জন্য এবছর অনুদান বৃদ্ধি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অনুদান বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আগের বছর প্রতিটি কমিটিকে ২৫ হাজার টাকা করে এবং মহিলা পরিচালিত কমিটি গুলিকে ৩০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এ বছর তা বাড়িয়ে দেওয়া হল। এমনকি বিদ্যুতের ক্ষেত্রে প্রতিটি পুজো কমিটি ৫০ শতাংশ ছাড় পাবে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসবের পাশাপাশি দমকম এবং পুরসভাগুলি পুজো কমিটি গুলির থেকে কোনও ফি নেবে না বলেও জানান দেন তিনি। কিছুদিন আগেই করোনা বিধি নিয়ে দুর্গাপুজো হওয়ার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নানা নিয়ম নিয়ে পুলিস সুপার, পুলিশ কমিশনারদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়। জানানো হয় প্রত্যেক থানার ওসি বা আইসিরা ওই নির্দিষ্ট এলাকার পুজো কমিটি গুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এদিন পুজো কমিটিগুলির কাছে একগুচ্ছ আবেদন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধায়। তিনি জানিয়েছেন, “পুজোয় যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় খেয়াল রাখুন, এমনভাবে প্যান্ডেল করুন যাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়। ঘেরা মণ্ডপে ছাদ খোলা রাখুন। মাস্ক-স্যানিটাইজার রাখুন। যারা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের ফেস শিল্ড দিন। অঞ্জলি যেন সকলেই একসঙ্গে না দেন। সিঁদুর খেলুন, কিন্তু সময় ভাগ করে খেলুন। একটা দল খেলে গেল, আরেকটা দল এল। একটু তো নিয়ম মেনেই চলতে হবে। প্রসাদ বিতরণও সাবধানে করুন। সাধারণ মানুষকে বলব, ফুল-বেলপাতা নিজেরাই পারলে নিয়ে যান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবার পারলে বন্ধ রাখুন। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে”।
এসব কিছুর মাঝেও প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একদিনে সব বিসর্জন নয়। পুলিশ, দমকল, স্বাস্থ্য সব বিভাগ একটা কোঅর্ডিনেশন কমিটি তৈরি করুন। স্বাস্থ্য দফতরও ভলেন্টিয়ার বাড়ান। সাধারণ মানুষকে নিয়ে বাকিরা সকলে মিলেই ভালো করে পুজো করব”।