লাদাখ: যত দিন যাচ্ছে লাদাখে ভারত-চিন সম্পর্ক ততই তিক্ত হচ্ছে। কেউ কাউকে যেন এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা উদ্বেগজনক হওয়ার ফলে শীতকালেও এবার লাদাখে পাহারায় থাকবেন ভারতীয় সেনারা। ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টারে করে খাদ্যদ্রব্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি চিনা সেনাদের নাস্তানাবুদ করতে যাতে এতটুকু বেগ পেতে না হয়, ভারতীয় সেনাদের সে কথা মাথায় রেখে লাদাখে আজ, শুক্রবার স্টিল ব্রিজের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এই স্টিল ব্রিজ উদ্বোধনের ফলে ভারতীয় সেনাদের কনভয় চালানোর ক্ষেত্রে একটা বিপুল সুবিধা পাওয়া যাবে। এমনকি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাতারাতি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। হিমাচল প্রদেশের সব থেকে লম্বা এই স্টিল ব্রিজের নাম দারচা পুল। 360 মিটার লম্বা এই ব্রিজ। মোট 43টি ব্রিজ ও একটি টানেলের উদ্বোধন করবেন রাজনাথ সিং। তবে পুরো উদ্বোধন অনুষ্ঠানটাই হবে ভার্চুয়ালি। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অন্যদিকে, অক্টোবরের শুরুতেই অটল ব্রিজ উদ্বোধন হবে। আজ স্টিল ব্রিজ উদ্বোধনের পাশাপাশি যে টানেলের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেই টানেলে ফোরজি নেটওয়ার্কের সুবিধা পাওয়া যাবে। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর আজ, শুক্রবার এবং আগামিকাল, শনিবার এই টানেলের কাজ তদারকি করার জন্য মানালিতে থাকবেন।
জানা গিয়েছে, লাদাখে স্টিল ব্রিজ উদ্বোধন হলে ভারতীয় সেনাদের গাড়ি মানালি-লাহোল-লেহ-লাদাখ পর্যন্ত সহজে পৌঁছতে পারবে। এর ফলে ভবিষ্যতে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত-চিন সীমান্তের অবস্থা যেভাবে উদ্বেগজনক হয়ে রয়েছে, তাতে ভারতীয় সেনারা উপকৃত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধাও ব্রিজ উদ্বোধন হলে পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে করোনা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে যখন লাদাখে ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে, ঠিক তখন এই ব্রিজের উদ্বোধন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।