বলিউডে ড্রাগ বিতর্ক যখন তুঙ্গে ঠিক তখনই মন্তব্য পেশ করেন সাংসদ অভিনেত্রী জয়া বচ্চন ও হেমা মালিনী। বলিউড ইমেজকে ধরে রাখার জন্য প্রাণপণ লড়াই চালান এই দুই প্রবীণ অভিনেত্রী। কঙ্গনার বিরুদ্ধে মুখ খুলে হেমা মালিনী। সেদিন তিনি জানান “বলিউডের কুৎসা শুনতে পারব না। এ ভাবে বলিউডের ভাবমূর্তি নষ্ট করা যায় না। পোশাকে দাগ লাগার মতোই এগুলি ছোটখাটো ঘটনা, যা আমাদের ধুয়ে ফেলতে হবে।”
সেদিন জয়া বচ্চনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সাংসদ হেমা মালিনী বলিউডের ইমেজ ধরে রাখার কথা বলেছিলেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন, “আমি ইন্ডাস্ট্রি থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। কেউ তার নামে কুৎসা রটালে কী ভাবে চুপচাপ বসে দেখব?” এছাড়াও, এক সাক্ষাৎকারে রি প্রবীণ অভিনেত্রী বলেন, “বলিউড এক সুন্দর সৃজনশীল জগৎ। সেখানে শিল্প ও সংস্কৃতির চর্চা হয়। এই শিল্পই আমাকে নাম, যশ ও খ্যাতি দিয়েছে।”
আজ হঠাৎ অভিনেত্রী হেমা মালিনী খানিকটা আলাদা সুরে কথা বললেন। তারকাদের মাদক সেবন প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমে জানান, ““যারা এইসব পার্টিতে যায় তারাই বলতে পারবে। আমি তো কোথাও যাই না। তাই আমি কিছু জানি না।” এমনকি তিনি এও বলেন, “মাদকের ব্যাপারে কিছুই জানি না আমি। এই ব্যাপারে কোনোদিন শুনিইনি।”
বর্ষীয়ান প্রতিষ্ঠিত সুন্দরী অভিনেত্রী জানেনই না মাদক কী।।অবশ্য তাঁর সময় ইন্ডাস্ট্রির হালচাল কেমন ছিল তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। ঠিক এই কারনেই আবারও তিনি জানান, “আমাদের দু তিন পাতার সংলাপ দেওয়া হয়, যা তখনি মুখস্থ করে বলতে হয়। যদি আমরা মাদক নিতাম তাহলে মিনিটের মধ্যে এমনটা করতে পারতাম কি? যতদিন আমরা ছিলাম এসব কিছু হয়নি। এটা খুব ভাল ইন্ডাস্ট্রি।”
বলিউডে তবে মাদকের প্রবেশ কবে থেকে হল? এই ব্যপারে এক প্রাক্তন গোয়েন্দা আধিকারিক এনকে সুদ দাবি করেছেন, কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিম বর্তমানে মুম্বইতে না থাকলেও রাশ এখনও তার হাতেই রয়েছে। সমাজের উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিতদের সঙ্গে এখনও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে দাউদের।