আজ কৃষি বিলের প্রতিবাদ জানাতে পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশে ধর্মঘট ও দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাবের আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে সারা ভারত কিষাণ মহাসভা। কৃষি বিল নিয়ে বর্তমানে ভারতের টাল মাটাল অবস্থা। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার অন্যদিকে বিরোধী পক্ষ। সব মিলিয়ে এখন হাড্ডাহাড্ডি চলছে দুপক্ষতে।
কিন্তু বিগত এক সপ্তাহ ধরে বিরোধী আর কেন্দ্রীয় সরকারের এই কৃষি বিল নিয়ে যা যা হয়েছে তা কারোরই অজানা নয়। সংগঠনের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি কার্তিক পাল জানিয়েছেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি, এনআরসি-র সময় যেরকম প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল বিধানসভায় সেরকম প্রস্তাব নেওয়া হোক, যে রাজ্যে এটা কার্যকরি করা হবে না। এমন একটা শক্ত আইন তৈরি হোক যেটা কেউ ভাঙতে পারবে না”। এদিন প্রতিবাদে সামিল হতে ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহন করে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের পাশাপাশি বাম গণসংগঠনের নেতারা।
কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত বিল নিয়ে ঝামেলা এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গড়ায় ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের কাছ থেকে মাইক্রোফোন ও রুল বুক নিয়ে টানাটানি করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। প্রসঙ্গত, কৃষি বিল পাশ করানো নিয়ে ওই দিন কোনোকিছুই বাদ যায়নি।
সেই ঘটনার শাস্তি হিসাবে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও দোলা সেন সহ মোট আটজন বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। সব মিলিয়ে তরজা যখন তুঙ্গে তখন রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাত করে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, সরকার একেবারে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদে কৃষি বিল পাস করিয়েছে।