অরূপ মাহাত: দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭২ বছর আগে। তৈরী হয়েছে দেশের সংবিধান। যা পৃথিবীর বৃহত্তম লিখিত সংবিধান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু সেই সংবিধানে দেওয়া অধিকারের কতটুকু ভাগ পায় সাধারণ মানুষ। নিজেদের অধিকার নিয়ে কতটুকুই বা সচেতন তাঁরা। আসুন একবার দেখি নিই কেমন আছে আমার দেশ? কেমন আছেন দেশের মানুষ?
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন কতটুকু উপভোগ করেন সাধারণ পেশার মানুষ? সেই উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করবো এই কয়েকদিনে। আজ দ্বিতীয় পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করবো কেমন আছেন শ্রমিক শ্রেণীর মানুষেরা।
স্বাধীনতার অর্থ কতটুকু স্পষ্ট তাদের কাছে এই নিয়ে আমরা হাজির হয়েছিলাম খেটে খাওয়া মানুষের দরবারে। প্রশ্ন ছিল, ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসে সারাদিন কী করবে? উত্তর শুনে থমকে যেতে হয়। “ওসব নিয়ে আমাদের ভাবার সময় কোথায়?” “পাড়ার ক্লাবের ছেলেরা পতাকা তোলার পর লোকজনকে বিস্কুট দেয়, ওরা ডাকলে ওখান থেকে দুটো বিস্কুট নিয়ে আসি।” স্বাধীনতার ৭২ বছর পরও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা অবহেলিত রয়ে গেছে। এখনও তাদের বাড়ির শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক অধিকার গুলো পেতে সমস্যায় পড়তে হয়। উত্তর পূর্ব ভারতের চা বাগানগুলোতে নজর দিলে যা পরিষ্কার ভাবে ফুটে ওঠে। অধিকাংশ শ্রমিকদের ছেলেমেয়েরা এখনও অপুষ্টিতে ভোগে। তাদের জন্য সরকারি বরাদ্দের সামান্যতম অংশ তাদের হাতে এসে পৌছালেও তা যথেষ্ট নয়। মাঝ পথে যে সমস্ত মাধ্যম কাজ করে শ্রমিকদের অধিকারের জন্য তারাই আবার শুষে নেয় শ্রমিকের রক্ত।