শনিবার ছিল সেই দিন, যেদিন আরবসাগরের তীরে উঠেছিলো জোয়ার। তবে নায়িকারা সন্তর্পণে সেই জোয়ারের ভারী আক্রোশকে পার করতে পেরেছেন। বলিউডের নায়িকাদের বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর তাঁদের আপাতভাবে বাঁচিয়ে দিয়েছে। আজ্ঞে হ্যাঁ, শনিবার নির্ধারিত সময়েই এনসিবি’র অফিসে পৌঁছে যান নবাব এর প্রথম পক্ষের কন্যা সারা আলি খান। তিনি জানান, সুশান্তের পাবনা লেকের ফার্ম হাউজে গিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু কখনও ড্রাগস নেননি। তাঁর দাবি, তিনি কোনও মাদক কারবারিকেও চেনেন না।
সুশান্তের সঙ্গে সারা আলি খানের ঘনিষ্ট সম্পর্কের কথা মিডিয়াতে আসে। এই দুইজনকে বহু জায়গায় একসাথে দেখা যায়। পরবর্তীতে সেই জায়গায় আসে রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত-সারার সম্পর্ক যতদিন ছিল, সারা বহুবার সুশান্তের কেপ্রি হাউজ’-এর বাড়িতে যেতেন। এমনকি একসঙ্গে থাইল্যান্ড ট্রিপেও গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে এক ঘরে কয়েকদিন সময়ও কাটিয়েছিলেন।
এদিকে রিয়া চক্রবর্তী জেরার সময় বলেছিলেন কেদারনাথ শ্যুটিং এর সময় থেকেই সুশান্ত মাদকাসক্ত হয়ে যান। এবং সারা-শ্রদ্ধা প্রায়ই সুশান্তের ফার্ম হাউসে আসতেন। পাশাপাশি, মাদক কারবারি মাদক কারবারি করমজিৎ সিং ওরফে কেজে-র ব্যাপারেও প্রশ্ন করা হয় সারাকে। করমজিৎ জানিয়েছিলেন যে ২’বার পার্সেল করে ড্রাগস পাঠিয়েছিজ তিনি সুশান্তের গেস্ট হাউসের পার্টিতে। এদিকে সারা আলি খান এই সব প্রশ্নের উত্তরে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি কখনো মাদক নেন নি। উল্টে তিনি এটা জানান যে সুশান্ত ফার্ম হাউজে বেশ কয়েকবার গাঁজা খেয়েছিল।
দীপিকা হলেন একজন দক্ষ অভিনেত্রী এবং সারার সিনিয়র। আমরা সাধারনত সিনিয়রদের অনুসরণ করি। কালকের চিত্র যদি ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায় তবে এটা আপনিও বুঝতে পারবেন যে দীপিকার মত সারা আলি খানও নিজের হোম ওয়ার্ক করেই এনসিবি-র মুখোমুখি হয়েছেন। সমন পাওয়ার পরেই সারা আলি খান তাঁর পার্সোনাল আইনজীবীদের সঙ্গে মিটিং করে এনসিবি-র দপ্তরে হাজিরা দেন। এবং সুকৌশলে জানান যে তিনি মাদক নেননি অথচ সুশান্ত মাদক নিতেন।