চিন: বর্তমানে সমস্ত আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থাই চাঁদে বসতি গড়ে তোলার ভাবনা নিয়েই গবেষণা এবং অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে চিনা যে মহাকাশ যানটি চাঁদের মাটিতে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে তথ্য মিলেছিলো চাঁদের মাটিতে দৈনিক ১,৩৬৯ মাইক্রোসাইভার্ট পরিমাণ বিকিরণ হয়। পৃথিবীর বুকে যে পরিমাণ বিকিরণ দেখা যায়, চাঁদের মাটিতে তার পরিমাণ ২০০ গুণ বেশি।
যে কোনও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যে পরিমাণ বিকিরণ হয়, চাঁদের মাটিতে তার থেকে ২.৬ গুণ বেশিই হয়। সম্প্রতি জার্মানির কেইল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক রবার্ট উইমার জানিয়েছেন, “একটি বিমানযাত্রার চেয়ে অনেক বেশি লম্বা সময় মহাকাশচারীরা মহাকাশে থাকেন বলে ক্ষতিকারক প্রভাবটাও অনেক বেশি হয়”।
পৃথিবীর পাশাপাশি মানুষ এখন মঙ্গল বা চাঁদে থাকার কথা ভাবছে। তাদের মতে পৃথিবীতে যেভাবে মানুষের বসবাস বাড়ছে তাতে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণও কমে যাচ্ছে। তাই চাঁদ, মঙ্গলের মতো জায়গায় মানুষের বসতি থাকার ব্যবস্থা করা ছাড়া আর কোন উপায়ও নেই।