এদিন উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুলায় বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে জানানো হয় ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ভর্তির প্রক্রিয়াও শেষ করে ফেলতে হবে এবং পয়লা নভেম্বর থেকে আগামী শিক্ষা বর্ষের ক্লাস চালু করে দিতে হবে।
আগের সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ট্যুইট করে জানান বর্তমান করোনা ভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ গুলোতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হওয়া নিয়ে একটি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জানানো হয়েছিলো ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে ১ নভেম্বর থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হবে।
কিছু দিন আগেও ইউজিসির মতে সায় না দিলেও এবার সেই নিয়ে কোন নেতিবাচক মন্তব্য শোনা যায়নি রাজ্যের তরফে। ইউজিসির শিক্ষাবর্ষ শুরু করা নিয়ে প্রস্তাবিত গাইডলাইন এর সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান “ইউজিসির শিক্ষাবর্ষ শুরু নিয়ে গাইডলাইন দেখেছি। উপাচার্যদের মতামত চাওয়া হবে। উপাচার্যদের মতামত শুনেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত আমরা নেব।”
ইউজিসি-র নির্দেশ মেনে আপাতত সপ্তাহে ছদিন ক্লাস হবে। রাজ্যে স্নাতক স্তরে ক্লাস শুরু হবে ২রা নভেম্বর থেকে। ১৮ নভেম্বর বা পয়লা ডিসেম্বর থেকে স্নাতকোত্তর এ ক্লাস শুরু হবে। স্নাতকোত্তরে এবার ভর্তির ক্ষেত্রে ৬০/৪০ নিয়মের বদলে ৮০/২০ নিয়ম মানতে হবে। আপাতত আর কোন নিয়ম বদল হবে বলে মনে করা হচ্ছে না সেক্ষেত্রে শুধু মাত্র করোনা বিধি মেনে ক্লাস শুরু হবার অপেক্ষা এবার।