পিএইচডি-র পথে ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের জুন আন্টি, প্রশংসার ঝড় নেট দুনিয়ায়
অঞ্জন দত্তের ছবি “ব্যোমকেশ বক্সী” অবলম্বনে নির্মিত সিনেমায় “সত্যবতী”র ভুমিকায় অভিনয় করেন ঊষসী চক্রবর্তী। এরপর স্টার জলসার জনপ্ৰিয় ধারাবাহিক শ্রীময়ীতে খলনায়িকা জুন আন্টির চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। ব্যাস সেখান থেকেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ঊষসী চক্রবর্তী। চারিদিকে শুধু জুন আন্টি আর জুন আন্টি। মিমে মিমে ছড়িয়ে পড়েন জুন আন্টি।
এবারে সেই জুন আন্টি কেরিয়ার সামলেই পিএইচডি-র দরজায় কড়া দিচ্ছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে একটি থিসিস thesis জমা দেন তিনি। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘রাজনীতিতে লিঙ্গবৈষম্য’। বাম নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর কন্যা তাঁর গবেষণার বিষয় হিসাবে বেছেছিলেন এমনই একটি বিষয়। রাজনীতিতে মেয়েদের স্থান নিয়ে তিনি একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ জমা দেন। এই নিয়েই গত পাঁচ বছর ধরে বিস্তর গবেষণা চালিয়েছেন ঊষসী।
অনেকে ভুল বুঝেছেন । আমি পি এইচ ডি awarded হইনি। আমি আমার thesis টা online submit করেছি। Awarded হতে কয়েকমাস দেরী আছে – পি এইচ ডি awarded হয় convocation এ । যাই হোক বাবার অকস্মাত চলে যাওয়ার এক মাস পর জমা দেওয়ার কথা ছিল। ৬ ই অগস্ট যেদিন ঘটনাটি ঘটে ভাবিনি জমা দিতে পারব। pic.twitter.com/kFsqSPtfKt
— Ushasi Chakraborty (@ushasie) September 26, 2020
উল্লেখ্য, ৬ আগস্ট ঊষসী চক্রবর্তীর বাবা ইহলোক ত্যাগ করেন। ঊষসীর কথায়, “খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছি এক দেড় মাস। গত এক বছর নানা সময়ে বাবা জানতে চেয়েছেন কবে থিসিস জমা দেব। উত্তর দিতে পারিনি। তখনও কাজ শেষ হয়নি। তারপর মার্চ মাস থেকে লক ডাউন। অনিশ্চিত হয়ে ছিল ভবিষ্যত। কবে ইউনিভারসিটি খুলবে, কবে জমা দেব কেউ বলতে পারত না। জুলাই মাসে যখন শুনলাম অনলাইন জমা হচ্ছে বললাম ‘একটা মাস একটু সুস্থ থাক বাবা। সেপ্টেম্বরে জমা দেব ’। বললেন ওরে ‘বাবা সেপ্টেম্বর মানে তো এখনও দু মাস।অনেক দেরী’।
অনেক মানে ঠিক কতোটা ? অনেক মানে কি আসলে কোনওদিনও না ? সারা জীবন এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে না।
৬ই অগস্ট বাবা চলে যাওয়ার দিন সত্যিই ভবিনি সময় মত জমা দিতে পারব। তবু দেখলাম, চরম ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির মধ্যেও অবিচল থাকার শিক্ষা নিজের অজান্তেই কোথাও একটা প্রোথিত হয়ে গেছে। খুব মুল্যবান এই শিক্ষা। যারা পাশে ছিলেন ধন্যবাদ জানিয়ে আর ছোট করব না।”