রবিবারের সন্ধেটা দারুন কাটলো ক্রিকেটপ্রেমীদের। সৌজন্যে ১৩ তম আইপিএল এর নবম ম্যাচ। এদিন সারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় রাজস্থান রয়্যালস এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। টসে জিতে পাঞ্জাবকে ব্যাটিং করতে পাঠান রাজস্থানের অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় খাড়া করে পাঞ্জাব। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান করে তারা। পাঞ্জাবের হয়ে এই আইপিএল এর দ্বিতীয় এবং এবং নিজের কেরিয়ারের প্রথম শতরান করেন ওপেনার ময়ঙ্ক আগরওয়াল। তিনি ৫০ বল খেলে ১০৬ রান করেন। অন্যদিকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন অধিনায়ক কেএল রাহুল। ৫৪ বলে ৬৯ রান করেন তিনি। এই পাহাড় প্রমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জস বাটলারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু হাল ছাড়েননি অধিনায়ক স্মিথ এবং সঞ্জু স্যামসং।
২৭ বল খেলে ৫০ রান করেন তিনি। নিজে আউট হবার পর অন্য ব্যাটসম্যানদের বদলে লেগ স্পিনার রাহুল তেওতিয়াকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়ে সবাইকে অবাক করে দেন স্মিথ। এরপর স্যামসং আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে গেলেও ব্যাটে বলে সংযোগ করতে পারছিলেন না তেওতিয়া। একসময় তাঁর স্কোর ছিল ১৯ বলে ৮ রান। ধীরে ধীরে যেন রাজস্থানকে হারের দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন তিনি। এরই মধ্যে একটি দুরন্ত বাউন্সারে স্যামসংকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মোহাম্মদ শামি। রাজস্থান সমর্থকদের সব আশা ওখানেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎই ম্যাচে ঘটে নাটকীয় পরিবর্তন। ১৮ নাম্বার ওভারে সেলড্রন কটরেল বল করতে এলে তাঁকে ৫ টি ছয় মারেন তেওতিয়া। যার ফলে ম্যাচ জেতার জন্য রাজস্থানের লক্ষ গিয়ে দাঁড়ায় দু’ওভারে ২১ রান।
উনিশ তম ওভার বল করতে এসে প্রথম বলেই রবিন উথাপ্পাকে আউট করেন শামি। যা সাপে বর হয়ে দাঁড়ায় রাজস্থানের জন্য। কারন এর পর ব্যাটিং করতে নামা জোফরা আর্চার পর পর দুটি বলে দুটি ছয় মারেন শামিকে। ফলে লক্ষ্য গিয়ে দাঁড়ায় ৯ বলে ৯ রান। এরপর অভারেও পঞ্চম বলে আবার একটি ছয় মেরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কফিনে শেষ পেরেকটি পেটেন সেই তিওতিয়াই। যদিও ওভারের শেষ বলে তাঁকে আউট করেন শামি। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরে নেয় রাজস্থান। ৬ উইকেটে পাঞ্জাবকে হারায় তাঁরা। ৩১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন তেওতিয়া। যার মধ্যে ছিল ৭ টি ছয়। তবে দলের সংকটকালে ৪২ বলে ৮৫ রান করার জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন সঞ্জু স্যামসং। তিনি মারেন ৪ টি চার এবং ৭ টি ছয়। এই ম্যাচ জিতে রেকর্ড তৈরি করল রাজস্থানের। আইপিএল ইতিহাসে এটিই হল সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতা ম্যাচ।