রাষ্ট্রসঙ্ঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে পরিসংখ্যান দিয়ে ইমরান খান সরকারকে নিশানা করল ভারত। কারণ কাশ্মীরের জঙ্গিদের সাহায্য করার পাশাপাশি দেশেও জঙ্গিদের উত্সাহ দিচ্ছে পাকিস্তান। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের একের পর এক এই আগ্রাসন নীতির কারণেই তার ওপর যথেষ্ট রুষ্ট পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নাগরিকরা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে কাশ্মীর ইস্যু ও ভারত নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গত শনিবার ভারতের সমালোচনা করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ এর ফলস্বরূপ রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৫তম সাধারণ সভা থেকে ওয়াক আউট করে ভারত৷
এদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিবৃতিতে ইমরান খান বিভিন্ন দেশে “ইসলামোফোবিয়া” বাড়ছে বলে জানান৷ এমনকি তার অভিযোগ মুসলমানদের খুন করা হচ্ছে এবং মসজিদ ভাঙা হচ্ছে৷ আর এই যুক্তি প্রসঙ্গে পাল্টা ভারতও জানায় পাকিস্তানের অন্যকে নিয়ে মিথ্যে প্রচার করা উচিত নয় কারণ সবচেয়ে খারাপ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হল সন্ত্রাসবাদ৷ এরপরে ভারত আরো আক্রমণ করে পাকিস্তানকে।
এরপর রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের ফাস্ট সেক্রেটারি পবন বাধে সওয়াল করেন, “ইমরান খান সরকার সেদেশে জঙ্গিদের তালিকা থেকে ৪,০০০ জনের নাম বাদ দিয়েছে। এছাড়াও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পুরোদমে চলছে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। গোটা পৃথিবী যখন করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত, পাকিস্তান তখন চুপিসাড়ে জঙ্গিদের তালিকা থেকে ৪,০০০ নাম বাদ দিয়ে দিয়েছে”।
এসব মন্তব্যের পাশাপাশি এদিন পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপরে অত্যাচারের কথাও তুলে ধরে ভারত। কারণ প্রথম থেকেই পাকিস্তানের একাধিক কাজে ক্ষুব্ধ হয়েছিলো ভারত। আর এসবের মাঝেই পাকিস্তানের খোচানিতে আবার প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে আক্রমণ করে ভারত।