দুবাই: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে এর আগে বহুবার স্বার্থের সংঘাত ইস্যু নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। এমনকি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর স্বার্থের সংঘাত যাতে ভারতীয় ক্রিকেটের মধ্যে না থাকে, এমন প্রতিজ্ঞাবদ্ধও হয়েছিলেন সৌরভ। কারণ, তিনি জানেন এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরে কাদা ছোড়াছুড়ি অনেক হয়েছে। আইপিএলের শুরুতেই এমন স্বার্থের সংঘাত ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। তাঁর একটি বক্তব্যকে ঘিরে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরে স্বার্থের সংঘাত মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে নিজের বক্তব্যের ভুল বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। কিন্তু এবার এই প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ খুললেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
শুধু এ বিষয়ে মুখ খুললেনই নন, কার্যত ‘বাপি বাড়ি যা’ স্টাইলে স্বার্থের সংঘাত ইস্যুকে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন সৌরভ। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে মোট 500টি ক্রিকেট ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমি যে কোনও সময় যে কোনও ক্রিকেটারকে পরামর্শ দিয়ে থাকতে পারি। তা সে বিরাট কোহলি হোক বা শ্রেয়াস আইয়ার। সাহায্য চাইলে আমি যে কোনও কাউকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব।’ এভাবেই স্বার্থের সংঘাত ইস্যুকে ‘বাপি বাড়ি যা’ বলে উড়িয়ে দিলেন সৌরভ।
কিন্তু আইপিএলের শুরুতে শ্রেয়াস আইয়ার কী বলেছিলেন? প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে আমি যে সফল হয়েছি, তার জন্য কোচ রিকি পন্টিং এবং বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব। ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক দু’জায়গাতেই সফলতা পাওয়ার জন্য তাঁদের অবদান রয়েছে।’ আর শ্রেয়াসের এই বক্তব্যের পর থেকেই সৌরভের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাত অভিযোগ ওঠে।
কিন্তু পরে অবশ্য শ্রেয়াস তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘গত বছর আমার দলের মেন্টর ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেই সময় আমি তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তাই আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকার কথা বলেছি।’ তবে শ্রেয়াস নিজের বক্তব্যের বিশ্লেষণ পরে করলেও স্বার্থের সংঘাত ইস্যু নিয়ে সৌরভকে সমালোচনা করা ছাড়েননি নেটিজেনরা। তাই এবার নিজেই সরাসরি এই বিষয়ে মুখ খুললেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।