কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন উপেক্ষা করার ডাক দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে “কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন” এবং “কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চু্ক্তি” সংক্রান্ত বিল। কিন্তু কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত বিল নিয়ে ঝামেলা এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গড়ায় যে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের কাছ থেকে মাইক্রোফোন ও রুল বুক নিয়ে টানাটানি করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।
কৃষি বিল পাশ করানো নিয়ে এদিন কোনোকিছুই বাদ যায়নি। রুল বুকে ছিঁড়ে ফেলা, ডেপুটি স্পিকারের মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থেকে ওয়েলে নেমে বিরোধীদের তপ্ত স্লোগান, সবই হলো কিন্তু বিরোধীদের হারিয়ে শেষমেশ কৃষি বিল পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
এরপর বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ জানান আট জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার না করলে রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করবে বিরোধীরা৷ কেন্দ্রও জানায় নিজেদের আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলেই আট জন বিরোধী সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করা হবে। এমনকি সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়ে এ দিন রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাম দলের সাংসদরা।
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। পাঞ্জাব আর এখন কর্ণাটকেও আন্দোলন শুরু হয়েছে। আজ কংগ্রেসের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সোনিয়া গান্ধী দেশের কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিকে সংবিধানের ২৫৪(২) ধারা অনুযায়ী নতুন কৃষি আইন আনার চিন্তাভাবনা করতে বলেছেন যাতে কেন্দ্রের কৃষি আইন এড়িয়ে চলা যায়। রাজ্য যদি আইন তৈরি করে তাহলে কেন্দ্রীয় ৩ কৃষি আইনকে এড়িয়ে চলা যাবে। এতে মোদী সরকার দেশের কৃষকদের প্রতি যে অবিচার করেছে তা থেকে মুক্তি মিলবে”। কেন্দ্রের এই আইনের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত সরব হয়েছে দেশের ১৮ বিরোধী দল।