বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রায়, মন্তব্য আদভানির

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে চলা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলা রায় আজ, বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে। অবশেষে এই মামলার নিষ্পত্তি হল আজ। মূল অভিযুক্ত বত্রিশ জনকে কার্যত বেকুসুর খালাস করে…

Avatar

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে চলা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলা রায় আজ, বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে। অবশেষে এই মামলার নিষ্পত্তি হল আজ। মূল অভিযুক্ত বত্রিশ জনকে কার্যত বেকুসুর খালাস করে দিয়েছে লখনউ সিবিআই আদালত। ফলে বেকসুর খালাস হয়েছেন এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে থাকা লালকৃষ্ণ আদভানি। আর রায় ঘোষণা হওয়া মাত্র তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আর এবার এই ঐতিহাসিক রায় নিয়ে মন্তব্য করেছেন স্বয়ং লালকৃষ্ণ আদভানি। তিনি বলেছেন এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আজ বেলা ১২.১৯ মিনিট নাগাদ বিচারক রায় পড়তে শুরু করেন। তারপর বেলা ১২.২১ মিনিট নাগাদ প্রথম অংশের রায় পড়ে তিনি জানান, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। অর্থাৎ এতদিন ধরে এই ঘটনাকে যেভাবে একটা বড় ষড়যন্ত্র এবং পূর্বপরিকল্পিত বলা হচ্ছিল, তা কার্যত খারিজ করে দিল লখনউ সিবিআই আদালত। এরপর অবশেষে বেলা ১২.২৪ মিনিট: ৩২ জন মূল অভিযুক্তকে কার্যত বেকুসুর খালাস করার রায় ঘোষণা করা হয়। এই রায় ঘোষণার পরই লাল কৃষ্ণ আদভানিকে শুভেচ্ছাবার্তা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি কী বলেছেন, তা সঠিকভাবে কিছু জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, টেলিফোনের মাধ্যমে এই শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ।

শুধু তিনিই নন, জেপি নাড্ডাও ফোনের মাধ্যমে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন লালকৃষ্ণ আদভানিকে। তবে যতই শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া হোক, এই রায় ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহল কার্যত তোলপাড় হয়ে উঠেছে।

এদিনের রায় ঘোষণায় আদালতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি লালকৃষ্ণ আদভানি। তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত রায়দান পর্ব শুনেছেন তিনি। আর রায়দান শেষে লালকৃষ্ণ আদভানি নিজে এই ঐতিহাসিক রায় সম্পর্কে বলেন, ‘সিবিআই বিশেষ আদালত যে রায় দিয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ সবার খুশির দিন। ‘জয় শ্রী রাম’ বলে এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। বিজেপি ও আমাকে এই রায় সন্দেহমুক্ত করল।’ এভাবেই মন্তব্য রাখেন তিনি। তবে এই রায় আসলে একটা গট আপ, এমনটাই মনে করছে বিরোধী শিবির।

About Author