মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমি থেকে মসজিদ সরানোর পিটিশন পিটিশন গ্রহণ করল না মথুরার দায়রা আদালত

মথুরা: এবার কৃষ্ণ জন্মভূমি থেকে ইদগা মসজিদ সরানোর দাবির পিটিশন গ্রহণ করল না মথুরার দায়রা আদালত। আদালত জানিয়েছে ১৯৯১ এর ধর্মস্থান আইন অনুযায়ী সমস্ত ধর্মস্থানের স্থিতি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট…

Avatar

মথুরা: এবার কৃষ্ণ জন্মভূমি থেকে ইদগা মসজিদ সরানোর দাবির পিটিশন গ্রহণ করল না মথুরার দায়রা আদালত। আদালত জানিয়েছে ১৯৯১ এর ধর্মস্থান আইন অনুযায়ী সমস্ত ধর্মস্থানের স্থিতি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট যেমন ছিল ঠিক তেমন রাখতে হবে। এমনকি এই পিটিশনে ১৯৬৮ সালের শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান ও শাহি ইদগা ম্যানেজমেন্ট কমিটির মধ্যে সমঝোতায় মথুরা আদালতের সিলমোহর খারিজেরও দাবি জানানো হয়েছিলো।

কিন্তু আপাতত সব কিছুই স্থগিত রয়ে গেলো। উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড, শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট, শাহি মসজিদ ইদগা ট্রাস্ট এবং শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান এই মামলার পক্ষে ছিলো। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের মন্দির চত্বরের পাশ থেকে ইদগাহ সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিলো৷ রঞ্জনা অগ্নিহোত্রি নামে লখনউয়ের এক বাসিন্দা মথুরার সিনিয়র ডিভিশন সিভিল জাজের কোর্টে এই মামলাটি দায়ের করেন।

শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানে এই মন্দির চত্বরের ১৩.৩৭ একর জমি পুনরুদ্ধারের জন্য এই মামলা করা হয়। জানানো হয়েছিলো শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান ট্রাস্টের অধীনে থাকা জমি জবরদখল করে কয়েকজন মুসিলেমর সাহায্যে সেখানে একটি কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে৷ আর ওই কাঠামোর নীচেই শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান রয়েছে।

১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই এই মামলায় মথুরার ফৌজদারি বিচারক রায়ও দিয়েছিল৷ মামলার হলফনামায় বলা হয়, “শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান মন্দির এবং ভক্তদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে ১৯৬৮ সালে মসজিদ ইদগাহ ম্যানেজমেন্ট কমিটি ট্রাস্টের সঙ্গে বেআইনিভাবে আপোস করে৷ যার ফলে মন্দিরের সম্পত্তির একটা বড় অংশ হাতছাড়া হয়৷”

About Author