বলিউডের সক্রিয় মাদকচক্র সম্পর্কে জোরালো তদন্ত শুরু করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। সম্প্রতি অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় বলিউডের চোরাগোপ্তা ড্রাগ সংযোগ উঠে আসে খবরের শিরোনামে। তদন্ত শুরু করে এনসিবি। একমাস আগে সুশান্তের বান্ধবী অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে মাদকচক্রের অ্যাকটিভ সদস্য হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এই মুহূর্তে রিয়া বায়কুল্লা জেলে বন্দি। তাঁকে জেরা করে বলিউডের বেশ কিছু তারকার নাম জানতে পেরেছে এনসিবি যাঁরা এই মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
বিখ্যাত প্রযোজক ও পরিচালক করণ জোহরের হাউস-পার্টির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে বেশ কিছু অভিনেতাকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখা গেছে। এদিকে এই মামলায় করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনসের এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার ক্ষিতীশ রবি প্রসাদও গ্রেফতার হয়েছেন। অন্যদিকে বলিউডের একাধিক প্রথম সারির নায়িকাদের জেরা করেছে এনসিবি যাদের মধ্যে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন,সারা আলি খান,রকুল প্রীত সিং,শ্রদ্ধা কাপুর। এই চার নায়িকার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিস্তারিত তদন্তের জন্য। এছাড়াও দীপিকার ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশ,ফ্যাশন ডিজাইনার সিমোন খাম্বাট্টা এবং kwan ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী ও সুশান্তের ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া শাহ-র মোবাইল ফোনও হেফাজতে নিয়েছে এনসিবি।
সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেল দাবি করেছে,মাদককান্ডে শাহরুখ খান,অর্জুন রামপাল,রণবীর কাপুরের মতো প্রথম সারির কিছু অভিনেতাদের শমন পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিবি। কিন্তু এনসিবি-র তরফে এই দাবি অস্বীকার করা হয়। এই ঘটনায় শাহরুখ খানের আপামর ভক্তকুল অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, নিউজ চ্যানেলের পক্ষ থেকে অতি সত্বর কিং খানের কাছে ক্ষমা চাওয়া হোক।
প্রসঙ্গত,মঙ্গলবার রিয়ার জামিনের শুনানিতে এনসিবি জানায়,এখন তদন্তের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তথ্য-প্রমাণ আদালতে সর্বসমক্ষে নিয়ে আসার পক্ষপাতী নয় তারা।এনসিবি জানায় এখন এই মামলাটি শুধুমাত্র সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত নয়,উপরন্তু বলিউডের মাদকযোগ পুরোপুরি নির্মূল করাই তাদের লক্ষ্য কারণ তারকারা দেশের যুব সমাজের কাছে ‘আইকন’। জানা গিয়েছে,তিনটি ধাপে এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে এনসিবি। এখনও কোনো নাম প্রকাশ না করলেও বলিউডের মাদকচক্রের মাথা হিসাবে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে এক অভিনেতার নাম যিনি সুপার মডেল হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন।