কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ। অর্থনীতির বাজার মন্দা হয়েছে। দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোগাড়ের জন্য কার্যত নাকাল হতে হচ্ছে মধ্যবিত্তদের। এমন সময়ে শাক-সবজির দাম বাজারে আকাশছোঁয়া। এদিকে করোনা আবহে শরীরে প্রোটিন জাতীয় খাবারের প্রবেশ করানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর প্রোটিন জাতীয় খাবার বলতেই মধ্যবিত্তের মাথায় আসে ডিম। কিন্তু এই মুহূর্তে ডিমের দাম যা, তা মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে, এমনটা বলাই যায়।
লকডাউনের শুরুতে বা মার্চ মাসের শেষে প্রতিটি পোল্ট্রি অথবা মুরগির ডিমের দাম ছিল সাড়ে তিন টাকা। আবার সেটা কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার টাকায়। কিন্তু এই মুহূর্তে এক লাফে প্রতি পিস ডিমের দাম হয়েছে ছয় থেকে সাত টাকা। এতে কার্যত মাথায় হাত মধ্যবিত্তদের।
জানা গিয়েছে, লকডাউনের আগে শিয়ালদা বাজারে অন্ধপ্রদেশ থেকে বারো লরি ডিম আসতো। লকডাউনের পর সেখানে সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে সাত কিংবা নয়। এতে দীর্ঘ লকডাউনের ফলে যে লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের, তা মেটানোর জন্য ডিমের দাম হঠাৎ করে এত বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন পাইকারি বিক্রেতারা।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে মানুষ কর্মহারা, শাক-সবজির দাম একইভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, আলু-পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া, সেখানে ডিমের দাম যদি এত বেড়ে যায়, তাহলে মানুষ খাবে কী? এই প্রশ্নই এখন সকলের মনে জাগছে।